আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিল গেটস ও মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটসের তিন সন্তান। জেনিফার, ররি ও ফিবি। সন্তানদের সবার বয়স ১৮ বছর পেরিয়েছে। তা ছাড়া বিলিয়নিয়ার বাবার সন্তান হিসেবে অঢেল না হোক, দিন চলার মতো ব্যবস্থা তাঁদের আছে। তাই গেটসদের বিচ্ছেদে তিন সন্তানকে নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তায় কেউ হয়তো পড়েননি। মানুষের যত দুশ্চিন্তা তাঁদের দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন নিয়ে। বিচ্ছেদের ঘোষণা দেওয়ার পর ফাউন্ডেশনটির ভাগ্য কী হবে, কোন পথে এগোবে, তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে। কারণ, বিশ্বব্যাপী অনেক দেশে নানা দাতব্য কাজে যুক্ত বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।
সংস্থাটি নিয়ে সে শঙ্কা এবার উড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। কারণ, দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবর অনুযায়ী, দাতব্য সংস্থাটিকে বিল ও মেলিন্ডা নিজেদের চতুর্থ সন্তানের মতো মনে করেন বলে জানিয়েছেন ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক সুজমান।
বিল ও মেলিন্ডা তাঁদের সম্পদের সিংহভাগ ফাউন্ডেশনটির মাধ্যমে দাতব্য কাজে ব্যয় করার ঘোষণা দিয়েছেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল গতকাল বুধবার জানিয়েছে, লিঙ্গসমতা অর্জনে আগামী পাঁচ বছরে ২১০ কোটি ডলার ব্যয় করবে ফাউন্ডেশনটি। জন্মনিয়ন্ত্রণ, নারীদের জন্য প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সেবা এবং অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও আইনের মতো পেশায় নারীদের নেতৃত্বদানকারী অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে এই অর্থ খরচ করা হবে।
২৭ বছরের দাম্পত্যজীবনের ইতি টানলেও বিল ও মেলিন্ডা আগের মতোই তাঁদের ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ার থাকবেন। বিচ্ছেদের যৌথ ঘোষণায় তাঁরা বলেছিলেন, ‘গত ২৭ বছরে আমরা চমৎকার তিন সন্তান পালন করেছি এবং এমন ফাউন্ডেশন গড়েছি, যেটা গোটা বিশ্বে কাজ করে মানুষকে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনে সাহায্য করছে। আমরা সেই লক্ষ্যে এখনো বিশ্বাসী এবং একসঙ্গে ফাউন্ডেশনের কাজ চালিয়ে যাব। তবে জীবনের পরবর্তী ধাপে আমরা দম্পতি হিসেবে এগিয়ে যেতে পারব বলে আর মনে করি না আমরা।’
গেটসদের বিচ্ছেদের ঘোষণার সপ্তাহ কয়েক পর গেটস ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টির পদ থেকে সরে দাঁড়ান বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়ারেন বাফেট। সে ঘোষণার সময় বাফেট বলেছিলেন, ‘ফাউন্ডেশনের সঙ্গে আমার লক্ষ্যের মিল শতভাগ। তবে এই লক্ষ্য অর্জনে আমার সশরীর অংশগ্রহণের কোনো প্রয়োজন নেই।’
Leave a Reply