বিনোদন ডেস্ক: চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন শেষ হলেও এর উত্তাপ এখনও রয়ে গেছে এফডিসিতে। সর্বশেষ নির্বাচনের আপিল বোর্ড এক সিদ্ধান্তে জায়েদ খানের প্রার্থীতা বাতিল করে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারকে সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেছে।একইসঙ্গে কার্যকরী সদস্য পদে চুন্নুর পদও বাতিল করা হয়েছে।তার স্থানে জয় পেয়েছেন নাদির খান।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এফডিসিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান, চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান। এদিকে চিত্রনায়িকা নিপুণ তার এই বিজয়কে ‘সত্যের জয়’ বলে মন্তব্য করেছেন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের নিপুণ বলেন, ‘তাদের (জায়েদ খান) জালিয়াতির প্রমাণ ছিল আমার কাছে। সত্যের জয় হয়েছে।’ জানা গেছে, রোববারই শপথ হবে নতুন কমিটির। অন্যদিকে এই সিদ্ধান্তকে কোনোভাবেই মানছেন না জায়েদ খান। তিনি আপিল বোর্ডের ঘোষণাকে আইন বহির্ভূত বলে দাবি করেছেন।গণমাধ্যমকে জায়েদ বলেন, ‘এখানে আপিল বোর্ডের কোনো মূল্য নেই। তারা এরকম কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না৷ এটা আইন বহির্ভূত, পৃথিবীতে এমন নজিরবিহীন ঘটনা নেই। প্রজ্ঞাপনের পর আপিল বোর্ড কীভাবে এ রায় ঘোষণা করে? আমি আইনি ব্যবস্থা নেব।’
উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল শিল্পী সমিতির নির্বাচন। নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ছিল ৪২৮ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩৬৫ জন। তাদের প্রদত্ত ভোটেই নতুন নেতৃত্ব এসেছে সংগঠনটিতে। নির্বাচনে ১৯১ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা সওদাগর পেয়েছেন ১৪৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী জায়েদ খান পেয়েছেন ১৭৬ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নায়িকা নিপুণ পান ১৬৩ ভোট।
তবে জায়েদ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নায়িকা নিপুণ অভিযোগ তোলেন, নির্বাচনে দুর্নীতি করেছেন জায়েদ। টাকা দিয়ে ভোটও নাকি কিনেছেন।এর প্রেক্ষিতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে জটিলতা অবসানের জন্য নির্দেশ দেয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। বিষয়টির সুরাহা করার দায়িত্ব পায় নির্বাচনের আপিল বোর্ড। এজন্য শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে একটি বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে অভিযোগকারী নিপুণ, সমিতির নতুন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, নির্বাচন কমিশনারসহ অনেকে উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না জায়েদ খান ও চুন্নু।
বৈঠক শেষে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান বলেন, দু’জন ভোটার লিখিতভাবে জানিয়েছেন যে, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জায়েদ খান ও সদস্য পদপ্রার্থী চুন্নু তাদেরকে ভোট দেয়ার জন্য নগদ অর্থ দিয়েছিলেন। এছাড়া আরও কয়েকজন ভোটার তাদের দু’জনের অর্থ প্রদানের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এবং কিছু ভিডিও ফুটেজে প্রতীয়মান হয়েছে যে, এই অর্থ প্রদানের অভিযোগটি সত্য।
সোহান জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জায়েদ খান ও চুন্নুর প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। জায়েদের পরিবর্তে নিপুণ সাধারণ সম্পাদক এবং চুন্নুর পরিবর্তে কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে জয় পেয়েছেন নাদির খান।
Leave a Reply