1. nokhatronews24@gmail.com : ajkarsatkhiradarpan darpan : ajkarsatkhiradarpan darpan
  2. install@wpdevelop.org : sk ferdous :
টিউমার ও ক্যানসারের মধ্যে পার্থক্য কী? - আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ
রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:১৫ পূর্বাহ্ন
১৩ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
📰সদরের সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের ঘুসের টাকা গ্রহনকারী মহসিনের ক্ষমতার উৎসাহ কোথায়? (১ম পর্ব)📰স্বামী-সন্তানকে ফেলে পরকীয়ায় রেহেনা এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ📰পাইকগাছায় ইয়াবাসহ যুবক আটক📰পাইকগাছায় বিভিন্ন পূজামন্ডপে বিএনপির সিসি ক্যামেরার প্রদান📰শ্যামনগরের ৭০টি পূজা মন্দিরে বিএনপির উপহার হস্তান্তর📰সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত📰সাতক্ষীরায় “বিশ্ব গণমানুষের সেবা ফাউন্ডেশন”এর জেলা কমিটি অনুমোদন📰পিআরসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভ📰কালিগঞ্জে পুকুরে ডুবে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু📰বিএনপি সবসময় জনগণের অধিকার আদায়ের পক্ষে কাজ করে আসছে- সাবেক ছাত্রনেতা রফিক

টিউমার ও ক্যানসারের মধ্যে পার্থক্য কী?

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১
  • ৫৬ সংবাদটি পড়া হয়েছে

নক্ষত্র ডেস্ক: বর্তমান সময়ে ক্যানসারের বিস্তার ঘটেছে। মস্তিষ্ক, স্তন, লিভারসহ নানা ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন লোকজন। আবার অনেকের দেহে টিউমার ধরা পড়ছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়, টিউমার হচ্ছে— কিছু অস্বাভাবিক টিস্যুর সমাবেশ, যেখানে কোষগুলো অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সংখ্যা বাড়ায়। ক্যানসার ও টিউমারের ফারাক সম্পর্কে এই তথ্য জানিয়েছেন ডা. অপূর্ব চৌধুরী।
একজন প্রাপ্তবয়স্কের দেহে গড়ে ৩০ ট্রিলিয়নের মতো কোষ থাকে। কোষের ভেতর কিছু নিয়মে পুরনো কোষ মরে যায়, নতুন কোষ জন্ম নেয়, আবার কিছু কোষ আকারে বাড়ে, কিছু কোষ সংখ্যায় বাড়ে। কিন্তু কোন কোষ মরে যাবে এবং কোন কোষ কতগুলো নতুন কোষ জন্ম দিতে পারবে, কোন কোষের আকার কেমন হবে— কোষের এমন সব বৈশিষ্ট্যকে নিয়ন্ত্রণের জন্য কোষের ভেতর কিছু নির্দেশ বা নিয়ম থাকে। আর সে নিয়মগুলো থাকে ডিএনএতে।
কোনো কারণে ডিএনএর মধ্যে থাকা এ নির্দেশ প্রক্রিয়া পরিবর্তন হয়ে গেলে কোষগুলো তখন অস্বাভাবিকভাবে নতুন কোষের জন্ম দিতে থাকে, পুরনো কোষ মরে না গিয়ে হযবরল ঘুরতে থাকে, অথবা নতুন জন্ম নেওয়া কোষগুলো কাজবিহীন ঘুরে বেড়ায়। কারণ কোষগুলোতে কোথায় গিয়ে থামতে হবে তার নির্দেশ থাকে না, কী কাজ করবে তার নির্দেশটি পরিবর্তন হয়ে যায়। তখন পরিবর্তিত ডিএনএর নির্দেশে রোবটের মতো একের পর এক নতুন কোষের জন্ম দিতে থাকে, নতুন অস্বাভাবিক কোষের সংখ্যা বেড়ে বেড়ে স্বাভাবিক কোষের কাজে ব্যাঘাত ঘটায়, বুড়ো কোষগুলোর স্বাভাবিক প্রক্রিয়া থেমে গিয়ে আবর্জনার মতো জমা হতে থাকে শরীরে।
তখন শরীরের অতিরিক্ত এবং অস্বাভাবিক এ কোষগুলো কোথাও জমা হয়ে একটি লাম্প বা প্লি বা চাকতির মতো হয়ে প্রকাশ পেলে তাকে তখন টিউমার বলে।এ টিউমার দুই ধরনের হয়। এক ধরনের টিউমার শুধু এক জায়গাতে বৃদ্ধি পেয়ে এক জায়গাতেই বসে থাকে। এদের বলে বিনাইন টিউমার। এরা তেমন ক্ষতিকারক নয়। আরেক প্রকার টিউমারের ভেতর থাকা অস্বাভাবিক কোষগুলো রক্ত কিংবা লিম্ফ্ নামক কিছু রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে শরীরের অন্য কোনো অংশে গিয়ে জমা হয়ে সেই অংশের স্বাভাবিক কাজে ব্যাঘাত ঘটায়, নতুন কোনো টিউমার তৈরি করে সেখানে, তখন তাদের বলে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার। এ ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকে অন্যভাবে বলে ক্যানসারাস টিউমার। সংক্ষেপে ক্যানসার বলে।
টিউমারের মধ্যে থাকা অস্বাভাবিক কোষগুলো শরীরের বিভিন্ন অংশে গিয়ে কখনও নতুন টিউমার হতে পারে, কখনও কেবল সেখানকার অন্য কোষগুলোর কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এমন করে না ছড়িয়ে পড়া বিনাইন টিউমারগুলো যখন শরীরের অন্য কোথাও ছড়িয়ে গিয়ে সমস্যা তৈরি করে, সেই ম্যালিগন্যান্ট টিউমারগুলোই মূলত বেশিরভাগ ক্যানসারের জন্য দায়ী বলে, তখন তার তৈরি করা সমস্যাগুলোকে সহজ করে কেবল ক্যানসার বলে। এ ক্ষেত্রে যে অঙ্গ বা অংশ থেকে কোষের পরিবর্তনের শুরু, তখন তাকে ওই পার্টের ক্যানসার বলে।
আবার কিছু ব্যতিক্রম আছে। যেমন— ব্লাড ক্যানসার, লিউকেমিয়া। এ ক্ষেত্রে রক্তের স্বাভাবিক কোষগুলোর চেয়ে অস্বাভাবিক কোষগুলো রক্তে বেশি থেকে রক্তকে তার স্বাভাবিক কাজ করতে দেয় না, রক্তে কোনো আলাদা টিউমার দেখা দেয় না। তার মানে সব টিউমার ক্যানসার নয়, কিছু কিছু টিউমার কেবল ক্যানসার, যখন সেই টিউমারগুলোর মধ্যে থাকা কোষগুলো শরীরের অন্য অংশে গিয়ে আরও নতুন টিউমার বা কাজে সমস্যা তৈরি করে। আবার সব ক্যানসার টিউমার নয়, যেখানে অস্বাভাবিক কোষগুলো টিস্যু আকারে কোথাও জমাট বেঁধে প্রকাশ পায়। যেমন ব্লাড ক্যানসারে এমন টিউমার হয় না।
অনেক নারীর ব্রেস্টে জীবনের যে কোনো সময়ে লাম্প বা চাকতির মতো বা পিণ্ডের মতো কিছু দেখা দিতে পারে। এ বাড়তি প্লিটি কেবল একটি টিউমার হতে পারে। এটিকে ভুল করে ব্রেস্ট ক্যানসার বলা যাবে না। কারণ চিকিৎসকরা এমন বাড়তি কোষের সমাবেশ কোথাও হলে প্রথমে তার সিটিস্ক্যান কিংবা এমআরআই করে নিশ্চিত হন এটি কেবল টিউমার কিনা। তার পর সেখান থেকে কিছু কোষ বায়োপসির নামক পরীক্ষার মাধ্যমে মাইক্রোস্কোপের নিচে রেখে কোষগুলো পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন কোষগুলো ক্যানসার জাতীয় কোষ কিনা, তখন তেমন পরিবর্তন দেখলে তাকে ব্রেস্ট ক্যানসার বলা যায়।
শুধু এমন টিউমার হলে প্রথমে কেবল ওষুধ দিয়ে, তার পর অপারেশন করে সেই বাড়তি অংশটি কেটে ফেলে টিউমারের চিকিৎসা করা হয়। সেই টিউমার যদি শরীরের অন্য কোথাও ছড়িয়ে যায়, শরীরে আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করে, তখন যে অংশে টিউমারটি হয়েছে, সেটি প্রথমে অপারেশন করে কেটে ফেলার দরকার বা অবস্থায় থাকলে কেটে ফেলে দিতে হয়, সঙ্গে শরীরের অন্য অংশগুলোতে ছড়িয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক ক্যানসার কোষগুলোকে মেরে ফেলা অথবা তারা যাতে আর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে না পারে, সেটি থামিয়ে দেওয়ার জন্য কিছু কেমিক্যালের মাধ্যমে কেমোথেরাপি এবং কিছু রে বা রশ্মির মাধ্যমে রেডিওথেরাপি দিয়ে ক্যানসারটির চিকিৎসা করার চেষ্টা করা হয়। এখন নিশ্চয়ই কারও টিউমার হলেই ক্যানসার হয়েছে, এমনটি বলবেন না এবং ভাববেনও না।
বর্তমানে দুটিরই চিকিৎসা আছে। টিউমার বা ক্যানসার হওয়া মানেই মৃত্যু নয়। ক্যানসার বা টিউমার শরীরের অন্য হাজার রোগের মতোই একটি রোগ বা সমস্যা। বরং শরীরের কোথাও এমন বাড়তি কোনো মাংস প্লি, কোনো কারণ ছাড়াই অনেক দিন ধরে অস্বাভাবিকভাবে শরীরের ওজন কমে যাওয়া, দীর্ঘদিন কোনো কারণ ছাড়াই দীর্ঘ সময় দুর্বল অনুভব করা— এমন সাধারণ কিছু সমস্যার মুখোমুখি হলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :

সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি:

এম এ কাশেম ( এম এ- ক্রিমিনোলজি).....01748159372

alternatetext

সম্পাদক ও প্রকাশক:

মো: তুহিন হোসেন (বি.এ অনার্স,এম.এ)...01729416527

alternatetext

বার্তা সম্পাদক: দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা

সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক :

মো: মিজানুর রহমান ... 01714904807

© All rights reserved © 2020-2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd