ন্যাশনাল ডেস্ক: জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) ‘ধনীদের অর্থায়ন’ এবং ছাত্রশিবিরের ইফতারের ফান্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এ প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক বলেছেন- কিছু ধনী ব্যক্তি তাদের অর্থায়ন করেছেন। আমরা জানতে চাই, তারা যেসব ধনী ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ নিয়েছেন, বিপরীতে তারা তাদের (ধনী ব্যক্তিদের) কী ধরনের কমিটমেন্ট দিয়ে অর্থ নিয়েছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, আমরা গণমাধ্যমে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারিকে বলতে শুনেছি, তারা প্রতিদিন গণ-ইফতার কর্মসূচিতে ৩ লাখ টাকা ব্যয় করছেন। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, তারা এত টাকা কীভাবে উপার্জন করছেন। তাদের আয়ের উৎস কী? একটি সাধারণ ছাত্র সংগঠন মাসে ৯০ লাখ টাকা কোথায় পাচ্ছে। আমরা গণমাধ্যমের মাধ্যমে শিবিরের কাছে জানতে চাই।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন প্রশ্ন তোলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ‘ন্যাশনাল সিটিজেন পাটির (এনসিপি) মুখ সংগঠনক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সঙ্গে ছাত্রদলের প্রত্যেকটি নেতা-কর্মীর সুসম্পর্ক রয়েছে, তাদের নিবিঢ় যোগাযোগ হয়। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনাটি ঘটেছে রাত ১০টার সময়ে, সেই সময়ে ধর্মপ্রাণ মসুলমানরা নামাজে ছিলেন। ওই সময়ে সারজিস আলম সেখানে কেনো গিয়েছিলেন? আমরা মনে করছি, উনার ভিন্ন মতলব থাকতে পারে। দ্বিতীয়টি হলো- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে তার সঙ্গে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উনার ঝামেলা হয়েছে। এখানে ছাত্রদলের কোনো নেতাকর্মী কোনোভাবে জড়িত না’।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘এটি সত্যি দুঃখজনক যে, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পরে বেশি কিছু বিষয়ে আমরা সরাসরি বলছি বিশেষ করে সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন কিংবা মাসুদ খন্দকার বলেন, যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছোটখাটো ঘটনাতেও আমাদের ছাত্রদলের নাম জড়ায়। আমরা খুব পজেটিভ পলিটিক্স করছি সবগুলো ক্যাম্পাসে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বলেন, ছাত্রদল দ্বারা, ছাত্রদলের কোনো একজন নেতাকর্মী দ্বারা কোনো একটি হলে আজকের দিন পর্যন্ত কোনো একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমাদের এ ধরনের পজেটিভি মুভমেন্টের কারণে প্রতিটি ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যাক সাধারণ শিক্ষার্থীকে ছাত্রদলের পতাকাতলে দেখা যাচ্ছে।’
ছাত্রদলের ডাকে মার্চ ফর জাস্টিস, ছাত্রলীগের বিচার এবং তাদের দোসরদের বিচারের দাবিসহ বিভিন্ন সামাজিক এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতার কর্মসূচিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ব্যাপক হচ্ছে জানিয়ে ছাত্রদল সভাপতি বলেন, ‘ছাত্রদলের ইতিবাচক রাজনীতিকে কলুষিত করতেই বিভিন্নভাবে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে।’
এ সময় ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন ছিলেন।
Leave a Reply