আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অ্যাপ স্টোর ও পে¬স্টোরসহ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে থাকা নানারকম ফ্রি গেম ডাউনলোড করে গেপনে হ্যাকারদের ক্রিপ্টোমাইনিংয়ে সহায়তা করছেন বলে উঠে এসেছে এক প্রতিবেদনে। যে গেমগুলো বিনামূল্যে ডাউনলোড করা সম্ভব হচ্ছে এর অনেক কটিতেই ম্যালওয়্যার আকারে দেওয়া আছে ক্রিপ্টোমাইনিংয়ের কোড। গ্র্যান্ড থেফট অটো ৫, এনবিএন ২কে১৯ এবং প্রো এডিশন সকার ২০১৮-এর মতো গেমগুলো বিনামূল্যে মিলছে বিভিন্ন ফোরামে।
কিন্তু এ গেমগুলোর কোডের ভেতরে লুকানো রয়েছে ক্রিপ্টো-মাইনিং ম্যালওয়্যারের একটি অংশ যার নাম ক্র্যাকোনশ। গবেষকরা বলছেন, অপরাধীরা এ পদ্ধতি ব্যবহার করে অন্তত দুই মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। অ্যাভাস্টের গবেষকরা বলছেন, ‘ক্র্যাক করা’ এ গেমগুলো দ্রুত ক্র্যাকোনশ ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং সাইবার নিরাপত্তা সফটওয়্যার সংস্থাটি এখন প্রতিদিন কম্পিউটারে গড়ে প্রায় আটশ ঘটনা শনাক্ত করছে। অ্যাভাস্ট যেহেতু শুধু এর অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করা পিসিতে ক্ষতিকারক সফটওয়্যার শনাক্ত করে, তাই ক্র্যাকোনোশের প্রকৃত প্রভাব অনেক বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এখন পর্যন্ত এক ডজনেরও বেশি দেশে এ ম্যালওয়্যারের খোঁজ মিলেছে। এর মধ্যে-ফিলিপিন্সে ১৮ হাজার ৪৪৮ জন, ব্রাজিলে ১৬ হাজার ৫৮৪ জন, ভারতে ১৩ হাজার ৭৭৯ জন, পোল্যান্ডে ১২ হাজার ৭২৭ জন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১১ হাজার ৮৫৬ জন এবং যুক্তরাজ্যে আট হাজার ৯৪৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
Leave a Reply