নিজস্ব প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা: পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে শীতের ঘন কুয়াশা ভেদ করে সাতক্ষীরার ৩টি উপজেলার ১৬টি ইউপি কেন্দ্রে হাজির শত শত ভোটার। আগেভাগে ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় থাকার পর সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে সাতক্ষীরার তিনটি উপজেলা আশাশুনি, শ্যামনগর ও কলারোয়ার ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহন। বুধবার পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে এই তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে একজন নারী সহ প্রার্থী হয়েছেন ৭৫ জন। তাদের মধ্যে আশাশুনির ১১টি ইউপিতে ৫৫ জন, শ্যামনগরের ৩টি ইউনিয়নে ১৩ জন ও কলারোয়ার দুটি ইউনিয়নে ৭ জন প্রার্থী । চতুর্থ ধাপ পর্যন্ত ৬১টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহন শেষে পঞ্চম ধাপে এই তিন উপজেলায় ভোট দিয়েছেন ৩ লাখ ২৮ হাজার ৩১৬ জন ভোটার। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারের উপস্থিতিও বাড়তে থাকে তবে মহিলা ভোটারের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতন। বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায় সকাল থেকে মহিলা ভোটারদের ভিড় বেশি থাকলেও দুপুরের পর পুরুষ ভোটারের সংখ্যা বাড়তে থাকে। একাধিক ভোটারের সাথে কথা হলে তারা বলেন, এমন সুষ্ঠ ভোট আগে কখনো দেখিনি। আমরা আনন্দের সহিত পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রয়োগ করে খুবই খুশি। গত ২০ ডিসেম্বর বরাদ্দকৃত প্রতিক পেয়ে ৩ জানুয়ারী পর্যন্ত প্রার্থীরা তাদের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে স্ব-স্ব নির্বাচনী এলাকায় প্রচার চালিয়েছে। ১৬টি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদে পদে ৭৫জন প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামীলীগের মনোনিত নৌকা প্রতিক চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৬ জন, জাতীয় পার্টীল লাঙ্গল প্রতিক প্রার্থী ২জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হাতপাখা ৪জন, জাসদ মশাল প্রতিক ১ জন ও বিএনপির সতন্ত্র প্রার্থীসহ বাকী প্রার্থীরা আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই আইনশৃংখলা বাহিনীর কড়া নজরদারির মধ্যে সমাপ্ত হলো ইউপি নির্বাচন। সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ নাজমুল কবির জানিয়েছেন, কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তিনি জানান, এর আগে প্রথম ধাপে তালা-কলারোয়ার ২১টি ইউনিয়ন, দ্বিতীয় ধাপে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন, তৃতীয় ধাপে দেবহাটা ও কালিগঞ্জের ১৭টি ইউনিয়ন, চতুর্থ ধাপে তালায় ও শ্যামনগরের ১০টি ইউনিয়নে আগেই নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
Leave a Reply