1. nokhatronews24@gmail.com : ajkarsatkhiradarpan darpan : ajkarsatkhiradarpan darpan
  2. install@wpdevelop.org : sk ferdous :
গ্রামবাংলার প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে মৌমাছি - আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন
১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
📰সাতক্ষীরায় নতুন এসপি মোঃ আরেফিন জুয়েল’র যোগদান📰বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সাতক্ষীরায় দোয়া অনুষ্ঠান📰সাতক্ষীরা সদরের খানপুরে পূর্ব শত্রুতার জেল ধরে সাঈদের বাড়িতে আগুন📰সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রভাষক গোলাম আজম নিহত📰ধানের শীষ বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি, ধানের শীষের বিজয়ে অপার সম্ভাবনা📰ভয় দেখিয়ে নয়, উদারতা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে বলেছেন তারেক রহমান: জুয়েল📰কুলিয়ায় নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে-নেতৃত্বাধীন অ্যাডভোকেসি সভা📰সাতক্ষীরা-২ আসনে আব্দুল আলিমের মনোনয়নের দাবীতে সড়ক অবরোধ করে মশাল মিছিল📰কালিগঞ্জে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু📰সমাজসেবা অফিসার শেখ সহিদুর রহমান নিজের অপকর্ম ঢাকতে, বিভিন্ন ব‍্যাক্তিদের দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ

গ্রামবাংলার প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে মৌমাছি

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫
  • ৮৬ সংবাদটি পড়া হয়েছে

কাজী সোহাগ পাইকগাছা:  গ্রামবাংলার প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে মৌমাছি ও মৌচাক। সচরাচর মাছি মৌ ও ক্ষুদে মৌমাছি দেখা মেলে খুব কম। গাছের গর্ত, খড়েল বা বড় নারকেল গাছের ছিদ্রের মধ্যে এরা মৌচাক তৈরি করে আবাসস্থল গড়ে তোলে মাছি মৌ বা ক্ষুদে মৌমাছি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবেশে বিপর্যয়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। মৌমাছি এ বিপর্যয়ের মোকাবিলায় টিকে থাকতে পারছে না। তাছাড়া বড় বড় গাছ কেটে ফেলায় তারা আবসস্থল গড়ে তুলতে না পারায় বংশ বৃদ্ধি ব্যহত হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বসবাসের উপযোগী পরিবেশের অভাব, খাদ্যের অভাব, ফসলে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ, অনাড়ি মধু সংগ্রহকারীদের দিয়ে মৌচাকে অগ্নিসংযোগ করে মৌমাছি পুড়িয়ে হত্যা করাসহ নানাবিধ কারণে মৌমাছি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। মৌচাক হলো মৌমাছির আবাসস্থল। এটি তৈরী হয় মোম জাতীয় পদার্থ দিয়ে। মধু হলো এক প্রকারের মিষ্টি ও ঘন তরল পদার্থ, যা মৌমাছি ও অন্যান্য পতঙ্গ ফুলের নির্যাস হতে তৈরি করে এবং মৌচাকে সংরক্ষণ করে। মধু ভালো শক্তি প্রদায়ী খাদ্য। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এক কথায় মুধু ওষুধি গুণাগুণে অতুলনীয়। মৌমাছি প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। কালের বিবর্তনে-প্রাকৃতিক মৌমাছির সংখ্যা অনেক কমে গেছে। আগে বৃক্ষের ডালে, দালানের ছাদের নিচে বা ভেন্টিলেটরে, বন-জঙ্গলে চোখে পড়তো মোমাছি ও মৌচাক। ক্ষুদে মোমাছি ও মৌচাক গাছের কোঠরে মাটির গর্তে দেখা যেত। কিন্তু মৌমাছির প্রজনন বৃদ্ধি ও বসবাসের পরিবেশের অভাবে মুক্ত মৌমাছি ও মৌচাক কমছে। আর এসব কারণে ক্ষুদে মৌমাছি প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।
মৌমাছির আবাসস্থলকে বলা হয় মৌচাক। মোম জাতীয় পদার্থ দিয়ে এরা মৌচাক তৈরি করে। মৌচাকে ক্ষদ্র ক্ষুদ্র ষড়ভূজ প্রকোষ্ঠ থাকে। মৌমাছি এসব প্রকোষ্ঠে মধুসঞ্চয় করে। এছাড়া ফাঁকা প্রকোষ্ঠে মৌমাছি ডিম পাড়ে, লার্ভা ও পিউপা সংরক্ষণ করে। মৌমাছি নিজেই দেহাভ্যন্তরে মোম তৈরী করে। শ্রমিক মৌমাছির দেহে আটটি ক্ষুদ্র গ্র্যা- থেকে মোমশ্বল্ক নি:সৃত হয়। নি:সরণের সময় মোমশ্বল্ক থাকে স্বচ্ছ যা কালক্রমে সাদা ও পরে ঈষদচ্ছ বর্ণ ধারণ করে। সহস্রাধিক মোমশ্বল্ক থেকে এক গ্রাম মোম পাওয়া সম্ভব।
পৃথিবীতে মৌমাছির প্রায় বিশ হাজার প্রজাতি আছে। ভারত ও বাংলাদেশে চার-পাঁচ প্রজাতির মৌমাছি দেখা যায়। রকি বা পাহাড়ি মৌমাছি, এরা ভালো মধু সংগ্রাহক এবং এদের প্রতি উপনিবেশ থেকে গড়ে ৫০-৮০ কেজি ফলন পাওয়া যায়। লিটল বী বা ক্ষুদে মৌমাছি, এরা খুব কম মধু উপন্ন করে এবং প্রতি উপনিবেশ থেকে প্রায় ২০০-৯০০ গ্রাম মধু পাওয়া যায়। তবে দেশে মৌয়ালরা এদেরকে মাছি মৌমাছি বলে। এরা মাছির মত দেখতে। ই-িয়ান বী বা ভারতীয় মৌমাছি, এরা বছরে প্রতি উপনিবেশ থেকে গড়ে ৬-৮ কেজি মধু দেয়। ইউরোপিয়ান বী বা ইউরোপিয় মৌমাছি, প্রতি উপনিবেশ থেকে গড়ে ২৫-৪০ কেজি মধু পাওয়া যায়। এগুলি ছাড়াও আর একটি প্রজাতি পাওয়া যায় যারা হুলবিহীন মৌমাছি নামে পরিচিত। এরা আদৌ হুলবিহীন নয়, প্রকৃতপক্ষে এদের হুল পূর্ণ বিকশিত হয় না। তবে এরা খুব ভালো পরাগসংযোজক। দেশে মৌয়ালরা এদেরকে ক্ষুদে মৌমাছি বলে। গাছের ছোট ডালে খুব ছোট ঝুলন্ত চাক তৈরি করে। এরা বছরে ৩০০-৪০০ গ্রাম মধু উৎপাদন করে।
বাংলাদেশে তিন প্রজাতির মৌমাছির সচারচ দেখা মেলে। পাহাড়িয়া, ক্ষুদে ও খুড়েল বা মাছিমৌ। বড় বড় গাছ ও দালানের কার্নিশে পাহাড়িয়া মৌমাছি চাক বাঁধে। খুদে মৌমাছি বন-বাদাড়ে ছোট ছোট গাছে এবং খুড়েল বিভিন্ন বড় বড় গাছের গর্ত বা কুঠুরিতে বাসা বাঁধে। মৌমাছি হলো মধু সংগ্রহকারী এক ধরনের পতঙ্গ। মধু ও মোম উৎপাদন এবং ফুলের পরাগায়ণের জন্য এরা সমধিক পরিচিত। পৃথিবীর সব মহাদেশে, বিশেষ করে যেখানে পতঙ্গ-পরাগায়িত সপুষ্পক উদ্ভিদ আছে, সেখানে এরা থাকে। প্রত্যেকটি মৌচাকে মৌমাছিরা বসতিবদ্ধ হয়ে একটি বড় পরিবার বা সমাজ গড়ে বাস করে। আকার ও কাজের ভিত্তিতে মৌমাছিরা তিন সম্প্রদায়ে বিভক্ত। রানি মৌমাছি যা একমাত্র উর্বর মৌমাছি, ডিম পাড়তে সক্ষম, ড্রোন বা পুরুষ মৌমাছি ও কর্মী মৌমাছি বা বন্ধ্যা মৌমাছি। মৌমাছিরা ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ানোর সময় তাদের পা এবং বুকের লোমের ফুলের অসংখ্য পরাগরেণু বয়ে বেড়ায়। এক ফুলের পরাগরেণু অন্য ফুলের গর্ভমু-ে পরলে পরাগায়ণ ঘটে, যার ফলশ্রুতিতে উৎপন্ন হয় ফল। পাশাপাশি প্রাকৃতিক পরাগায়ণের মাধ্যমে ফলফসলের উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে। এভাবে মৌমাছিরা পরাগায়ণের মাধ্যমে হিসাবে কাজ করে ফল ও ফসলের উৎপাদন বাড়ায়। পরিবেশে মৌমাছির এই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে প্রতি বছর ২০ মে বিশ্ব মৌমাছি দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
গ্রামগঞ্জেও নগরায়ন-শিল্পায়নের কারণে এবং বড় বড় গাছ ঝোপ-জঙ্গল উজাড় করার ফলে প্রজননের পরিবেশ ও আবাসন সমস্যার কারণে মৌমাছি ও মৌচাক প্রায় বিলুপ্তি হচ্ছে। এতে করে বিরূপ প্রভাব পড়েছে ফল ও ফসল উৎপাদনে। পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখার জন্য পরাগায়ন প্রক্রিয়া খুবই দরকারি। ভালো ফল ও ফসল উৎপাদনসহ প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় মৌমাছি সংরক্ষণ করা জরুরী।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :

সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি:

এম এ কাশেম ( এম এ- ক্রিমিনোলজি).....01748159372

alternatetext

সম্পাদক ও প্রকাশক:

মো: তুহিন হোসেন (বি.এ অনার্স,এম.এ)...01729416527

সম্পাদক ও প্রকাশক:

সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক :

© All rights reserved © 2020-2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd