আজকের সাতক্ষীরা দর্পন ডেস্ক: জেলায় সারের বস্তায় ৩০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দাম, ৩ মাসে ঘাটতি ৩ লাখ ১২ হাজার বস্তা। সাতক্ষীরার কৃষক সম্প্রদায় শীঘ্রই এক বড় সমস্যা মোকাবিলা করছেন কৃত্রিম সারের অপ্রতুল সরবরাহ। সম্প্রতি সময়মতো সার না পাওয়ার কারণে কৃষকদের বস্তাপ্রতি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি দিয়ে সার কিনতে হচ্ছে। এটি শুধু কৃষকের জীবিকাকে প্রভাবিত করছে না, দেশের অগ্রগতির সম্ভাবনাকেও থামাচ্ছে।
তিন মাসে জেলার চাহিদা অনুযায়ী ২৬,৯৭১ মেট্রিক টন সার প্রয়োজন হলেও সরবরাহ হয়েছে মাত্র ১১,৩৭১ মেট্রিক টন। ঘাটতি প্রায় ১৫,৬০২ মেট্রিক টন, যা প্রায় ৩ লাখ ১২ হাজার বস্তার সমান। এতে দেখা যাচ্ছে, কৃষি কার্যক্রমের জন্য বরাদ্দকৃত সরবরাহ যথেষ্ট নয়।বাজারে সরকারের নির্ধারিত দামের তুলনায় সার বিক্রি হচ্ছে অনেক বেশি যার ফলে সাধারণ কৃষকই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একদিকে প্রশাসন বলছে, বরাদ্দ যথেষ্ট, অন্যদিকে ডিলাররা দাবি করছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। এ সংকটের শিকার হচ্ছেন কৃষকরা, যাঁদের ফসলের মৌসুম সীমিত এবং সময়মতো সার প্রয়োগ না হলে ফসলের উৎপাদন কমে যেতে পারে।
এ অবস্থায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের সতর্ক এবং কার্যকর পদক্ষেপ অপরিহার্য। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ডিলারদের কার্যক্রম মনিটরিং করতে হবে, অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং সরবরাহের নিশ্চয়তা দিতে হবে। কৃষকরা যেন ন্যায্যমূল্যে সার পায়, তা নিশ্চিত করা দেশের কৃষি ও অর্থনীতির স্বার্থে জরুরি।
সার সংকট কেবল কৃষকের ব্যক্তিগত সমস্যা নয়; এটি জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা ও স্থানীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলে। অতএব, প্রশাসন, কৃষি বিভাগ ও ডিলারদের মধ্যে সমন্বয় ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। সময়মতো সারের সঠিক বিতরণ না হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা যারা দেশের অগ্রগতির মূল চালিকা শক্তি।
সাতক্ষীরার কৃষকরা চায় সুন্দর ও উৎপাদনশীল ফসলের জন্য সরকার নির্ধারিত দামে সারের প্রাপ্যতা যেন নিশ্চিত হয়। এটি না হলে শুধুই ক্ষতি হবে, কোনও লাভ নয়।
Leave a Reply