ফিংড়ী প্রতিনিধি: শনিবার রাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের জোড়দিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে পবিত্র আশুরার তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর ও জোড়দিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এলাকাবাসির সার্বিক সহযোগিতায়, জোড়দিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সভাপতি,গোবরদাড়ী জোড়দিয়া স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এস এস জুলফিকার আলীর সভাপতিত্বে পবিত্র আশুরার তাৎপর্য তুলে ধরে কোরআন ও হাদিসের আলোকে বক্তব্য রাখেন হযরত মাওলানা আবু তালেব, হাফেজ আরিফ বিল্লাহ, হাফেজ ইমরান হোসেন। এ সময় উপস্হিত ছিলেন জোড়দিয়া কেন্দ্রীয় হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার সেক্রেটারি আ: মান্নান সরদার,জোড়দিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সেক্রেটারি মনজুর এ মতিন, মোঃ আব্দুর রশীদ, মোঃরবিউল ইসলাম শানা,মোঃ মাছুম বিল্লাহ, হাফিজুল ইসলাম বুলু সহ এলাকার মুসল্লীগন। জোড়দিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে পবিত্র আশুরার তাৎপর্য তুলে ধরে কোরআন ও হাদিস থেকে বক্তব্য কালে মাও: আবু তালেব বলেন পবিত্র আশুরা দিনটি ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি বিশেষ পবিত্র দিবস হিসেবে দিনটি পালন করা হয় মুসলিম বিশ্বে।বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হল পবিত্র আশুরা। বিশ্ব মুসলিম যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করে থাকে। ইসলামি পরিভাষায়, মহররমের ১০ তারিখকে ‘আশুরা’ বলে। সৃষ্টির শুরু থেকে এ দিনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। হিজরি ৬১ সালের এদিনে ফোরাত নদীর তীরে কারবালার প্রান্তরে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা.) ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা শহিদ হয়েছিলেন। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁদের এই আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে আছে।কুরআন ও হাদিসের বর্ণনা মতে, এ দিনে মহান আল্লাহ তায়ালা প্রাণিকুল, আসমান-জমিন সৃষ্টি করেছেন। আবার এদিনেই তামাম মাখলুকাত ধ্বংসও হবে, পৃথিবীতে নির্বাসনের পর এ দিনেই হজরত আদম (আ.) আরাফাত ময়দানে হজরত মা হাওয়ার সঙ্গে মিলিত হন। হজরত মুসা (আ.) ফেরাউনের জুলুম থেকে এই দিনে পরিত্রাণ লাভ করেছিলেন তার অনুসারীদের নিয়ে নীল নদ পার হয়ে। হজরত নূহ (আ.) সদলবলে মহা প্লাবন শেষে যুদী পাহাড়ে অবতরণ করে পৃথিবীকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলেন।শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে তাদের এই আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে রয়েছে।কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা ও পবিত্র আশুরার শাশ্বত বাণী সবাইকে অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং সত্য ও সুন্দরের পথে চলতে প্রেরণা যোগায়।শেষে বিশেষ দোয়া করা হয়।
Leave a Reply