ক্রীড়া ডেস্ক: শেষ পর্যন্ত হারতে হারতে জিতে গেলো বাংলাদেশ। অল্প রানের টার্গেট হলেও শুরুটা মোটেও ভালো করতে পারেনি সফরত জিম্বাবুয়ে দল। ইনিংসের চতুর্থ বলে দলীয় কোন রান না করেই তাসকিনের বলে ফিরে যান জিম্বাবুয়ে ওপেনার ব্রায়ান বেনেট। তবে তাদিওয়ানাশে মারুমানি ও সিকান্দার রাজা মিলে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে। এরপর আবারও আঘাত হানেন তাসকিন।
তাদিওয়ানাশে মারুমানি ১৪ ও সিকান্দার রাজা ১৭ রানে আউট হলেও দলকে এগিয়ে যান জোনাথন ক্যাম্পবেল। ২৭ বলে ৩১ রান করে সাকিবের বলে ফিরে যান তিনি। ১২ রান করে রিশাদের বলে ফিরেন যান ক্লাইভ মাদান্দে। রায়ান বার্ল ১৯, লুক জঙ্গুই ১ রানে আউট হলেও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ফারাজ আকরাম জয়ের জন এগিয়ে যান। তবে ১০ বলে ১১ রান করে মোস্তাফিজের বলে ফিরে যান আকরাম। শেষ ওভারে ১৪ রান দরকার। বোলিংয়ে আসেন সাকিব। মাত্র ৮ দিয়ে জিম্বাবুয়েকে অল আউট করে জয় এনে দেন। ৩৫ রান ৪ উইকেট নেন সাকিব।
এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ ম্যাচে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ দল। তামিমের ফিফটিতে বাংলাদেশের ঝড়ো শুরু পর প্রথম উইকেট ১০০ রান করলেও এরপর আসা যাওয়ার মধ্যে থাকে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ১৪৩ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।
শুক্রবার (১০ মে) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ টি টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয় শান্তের দল। তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে ওপেনার হিসেবে নেমেছেন সৌম্য সরকার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সবশেষ দেখা গিয়েছিল সৌম্যকে। তৃতীয় ওয়ানডেতে ইনজুরিতে পড়ার পর তার জায়গায় এসেছিল তানজিদ তামিম। শুক্রবার ব্যাট হাতে বাংলাদেশের ইনিংস শুরু করেছেন সৌম্য। আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম শুরু থেকেই আছেন উড়ন্ত ছন্দে। ৩৪ সাত চার এবং ১ ছক্কায় তুলেন নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ফিফটি। তামিম তাণ্ডব চালালেও সৌম্য কিছুটা ধীর গতিতে শুরু করেন।
১১.২ ওভারে ৫২ রান করে তামিম আউট হওয়ার পর ৪১ রানে ফিরেন সৌম্য। এরপর আর কেউ ক্রিজে থাকতে পরেননি। তৌফিক হৃদয় ১২, সাকিব ১, অধিনায়ক শান্ত ২, জাকির আলী ৬, রিশাদ ২, তাসকিন ০, তানজিম সাকিব ৬, মোস্তাফিজ ৩ এবং তানভীর ৩ রান করেন।
Leave a Reply