1. nokhatronews24@gmail.com : ajkarsatkhiradarpan darpan : ajkarsatkhiradarpan darpan
  2. install@wpdevelop.org : sk ferdous :
শোনো মুমিন মুসলমান মর্ম বুঝে পড় কুরআন - আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ
রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন
১৩ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
📰সদরের সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের ঘুসের টাকা গ্রহনকারী মহসিনের ক্ষমতার উৎসাহ কোথায়? (১ম পর্ব)📰স্বামী-সন্তানকে ফেলে পরকীয়ায় রেহেনা এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ📰পাইকগাছায় ইয়াবাসহ যুবক আটক📰পাইকগাছায় বিভিন্ন পূজামন্ডপে বিএনপির সিসি ক্যামেরার প্রদান📰শ্যামনগরের ৭০টি পূজা মন্দিরে বিএনপির উপহার হস্তান্তর📰সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত📰সাতক্ষীরায় “বিশ্ব গণমানুষের সেবা ফাউন্ডেশন”এর জেলা কমিটি অনুমোদন📰পিআরসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভ📰কালিগঞ্জে পুকুরে ডুবে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু📰বিএনপি সবসময় জনগণের অধিকার আদায়ের পক্ষে কাজ করে আসছে- সাবেক ছাত্রনেতা রফিক

শোনো মুমিন মুসলমান মর্ম বুঝে পড় কুরআন

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : বুধবার, ২০ এপ্রিল, ২০২২
  • ১০৮ সংবাদটি পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: প্রভুর সঙ্গে স্তায়ী সম্পর্ক জুড়ে দেয় কুরআন। কুরআনের সঙ্গে যার সম্পর্ক যত মধুর, রবের সঙ্গে তার সম্পর্ক তত নিবিড়। মানুষের মনোজোগত পরিবর্তন করে সোনার মানুষে পরিণত করে কুরআনুল কারিম। তাই মক্কার কাফেরদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ছিল কুরআন থেকে মানুষকে ফিরিয়ে রাখা। মক্কার মাথাওয়ালা কাফেররা সাধারণ মানুষকে কুরআন শুনতে বারণ করত যাতে সত্য গ্রহণে তাদের অন্তর খুলে না যায়। কুরআনুল কারিমে বিষয়টি মহান আল্লাহ সুন্দর করে তুলে ধরেছেন এভাবে, ‘অবিশ্বাসীরা বলে, তোমরা এ কুরআন মনোযোগ দিয়ে শুনবে না, বরং শোরগোল তৈরি করবে। তবেই তোমরা বিজয়ী হতে পারবে’ (সূরা হামিম সিজদা : ২৬)। তথাপিও কুরআনের বাণী আড়ালে থেকে শুনত তাদের কেউ কেউ। এর জাদুকরি স্পর্শে তাদের কারও কারও অন্তর শীতল হয়ে যেত। প্রভুর বাণীর কাছে সমর্পিত হতো চিন্তার জগৎ। এভাবে কুরআনের কাছে যে নিজেকে সঁপে দেয়, সে পায় মহান রবের সন্ধান। আমাদের পূর্বসূরিদের কুরআনের সঙ্গে ছিল গভীর সম্পর্ক। শুধু পাঠে নয়, তাদের চিন্তা-চেতনায়, কাজে-কর্মে ছিল খোদায়ী বাণীর পূর্ণ প্রতিফলন। যে কোনো সমস্যায় তারা কুরআন থেকে সমাধান খুঁজতেন। রাতের পর রাত তাদের অনায়াসে কেটে যেত কুরআন গবেষণায়। একটি কিংবা দুটি আয়াতের মর্ম উদ্ধারে নির্ঘুম রাত কাটাতেন। জীবনের প্রতিটি পদে তারা কুরআন থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করতেন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকে কুরআনের দশটি করে আয়াত ভালোভাবে শিখে নিতাম এবং তার মর্মার্থ পুরোপুরি বুঝে শুনে আমলে পরিণত করার আগে সামনের আয়াত শিখতাম না। এভাবে আমরা পুরো কুরআন শিখতাম ও আমলে পরিণত করতাম’ (জামেউল বায়ান: ১/৩৫)। তাবেয়ি হাসান বসরি (র.) বলতেন, ‘কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে সে অনুযায়ী আমল করার জন্য। তোমরা তোমাদের তিলাওয়াতকে আমলে পরিণত কর’ (মিফতাহু দারুস সায়াদাহ লি’ইবনিল কাইয়িম : ১/১৮৭)।
অথচ আমাদের কাছে আজ কুরআন প্রাণহীন গ্রন্থে পরিণত হয়েছে। আমাদের কেউ কেউ কুরআন পড়তে পারলেও এর মর্মার্থ অনুধাবনে সচেষ্ট নয়। কুরআন গবেষণায় কার্যকরী উদ্যোগ নেই। এমনকি এর প্রয়োজনীয়তাও আমরা উপলব্ধি করি না। ফলে অনেক কিছু জানলেও কুরআনের মর্মবাণী না জানার কারণে রবের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে না। আমাদের জীবনে কুরআনের প্রতিফলন ঘটে না। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তারা কি কুরআন নিয়ে চিন্তাভাবনা করে না, নাকি তাদের অন্তরে তালা ঝুলানো?’ (সূরা মুহাম্মদ : ২৪)। আরও বলা হয়েছে, ‘আমি আপনার প্রতি বরকতময় গ্রন্থ অবতীর্ণ করেছি। যাতে তারা এর আয়াত নিয়ে চিন্তাভাবনা করে এবং বিবেকবানরা উপদেশ গ্রহণ করে’ (সূরা সোয়াদ : ২৯)। কুরআনের বহু আয়াতে কুরআন বোঝার প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। অথচ আমাদের কুরআন অধ্যয়ন আজ শুধু তিলাওয়াতেই সীমিত। বিশ্ব মুসলমান আজ কুরআন থেকে অনেক দূরে অবস্তান করছে। তাই ক্রমেই জ্ঞানের জগৎ থেকে তারা পিছিয়ে পড়ছে। হাসান বসরি আক্ষেপ করে বলতেন, ‘তোমরা এখন কুরআন তিলওয়াতকে কয়েকটি মুঞ্জিলে পরিণত করেছ এবং রাতকে পরিণত করেছ উটের বাহনে। তোমরা এ উটের বাহনে চড়ে মঞ্জিলগুলো অতিক্রম করে চলে যাচ্ছ। অথচ তোমাদের পূর্বসূরি ইমানদাররা কুরআনকে তাদের রবের পক্ষ থেকে বার্তা হিসাবে গ্রহণ করতেন। তারা রাতে কুরআন নিয়ে গবেষণারত থাকতেন এবং দিনে তা কার্যকর করতেন’ (আত-তিবইয়ানু ফি আদাবি হামালাতিল কুরআন, পৃ. ৫৪)।
নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘কুরআন পড়ো। মনে রেখ, কুরআন যা নিষেধ করে তা যদি বর্জন করতে না পারো, তবে তোমার কুরআন পড়াই হয়নি’ (মুসনাদুশ শামিয়িন : ১৩৪৫)। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আমরা কুরআন পড়ি না। কুরআন বোঝার চেষ্টা করি না। যদিও কিছু সংখ্যক মানুষ কুরআন বোঝার চেষ্টা করেন; তথাপি আগে থেকে চিন্তাচেতনায় জেঁকে বসা মাজহাবি গোঁড়ামি থেকে মুক্ত হতে না পারায় কুরআনের মর্মবাণী বুঝতে ব্যর্থ হন। ড. আকরাম নদভী আফসোস করে বলেন, ‘আমাদের দার্শনিক, ফুকাহা, সুফি ও মুতাকাল্লিমগণ কুরআন অধ্যয়ন করতে গিয়ে তাদের মাথায় আগে থেকে বিদ্যমান থাকা কিছু ধারণা কুরআনের ওপর চাপাতে চেষ্টা করেন। যেমন, দার্শনিকরা কুরআনে শুধু দর্শন খুঁজে পান। কুরআনের যেখানেই দর্শনের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ কিছু আলোচনা থাকে সেটাকে তারা নিজেদের মতবাদের পক্ষে টানার চেষ্টা করেন। ফকিহরা নিজেদের মাজহাবের পক্ষে কুরআন থেকে প্রমাণ খুঁজতে থাকেন। তারা হানাফি, শাফেয়ি, মালিকি, হাম্বলি, আশয়ারি কিংবা মাতুরিদি দৃষ্টি দিয়ে কুরআন পড়েন। ফেমিনিস্টরা কুরআনকে ফেমিনিজম অনুযায়ী ব্যাখ্যা করেন। এটাই কুরআন অধ্যয়নে সমস্যা। কুরআন থেকে হিদায়াত নিতে হলে মনকে পূর্ব ধারণা থেকে মুক্ত করতে হবে। তারপর খালি মনে কুরআন বোঝার চেষ্টা করতে হবে। কুরআন বোঝার ক্ষেত্রে আরেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করেন গল্পকার ওয়ায়েজরা। তারা মানুষকে শেখানোর আগেই তাদের অন্তর গলাতে চান। লোকেরা তাদের কথার সুরে, মেসেজ না বুঝেই কান্না শুরু করে’।
কুরআন আজ আমাদের মুখে মুখে উচ্চারিত গ্রন্থে রূপ নিয়েছে। গল্পকার ওয়ায়েজিন ও ফেরকাবাজিদের বানোয়াট তাফসিরের বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে। আমাদের মন-মগজ ও কর্ম থেকে তো বহু আগেই কুরআন বিদায় নিয়েছে। কুরআনের বিপরীতে চলছে আমাদের পুরো জীবন। কুরআনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে মহান আল্লাহর বাণী হিসাবে এর যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। মাজহাবি গোঁড়ামির ঊর্ধ্বে উঠে যুগ সমস্যার সমাধানে কুরআন গবেষণায় এগিয়ে আসতে হবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :

সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি:

এম এ কাশেম ( এম এ- ক্রিমিনোলজি).....01748159372

alternatetext

সম্পাদক ও প্রকাশক:

মো: তুহিন হোসেন (বি.এ অনার্স,এম.এ)...01729416527

alternatetext

বার্তা সম্পাদক: দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা

সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক :

মো: মিজানুর রহমান ... 01714904807

© All rights reserved © 2020-2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd