ক্রীড়া ডেস্ক: পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের চারটির পর ২-২ সমতা। শেষ ম্যাচ তাই কার্যত ফাইনাল। আর ফাইনালে ক্যারিবীয়দের ২৫ রানে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। এ সিরিজ জয়ের ম্যাচে নায়ক ওপেনার কুইন্টন ডি কক আর এইডেন মার্করাম। দুজনের অনবদ্য দুই হাফসেঞ্চুরিতে লড়াকু পুঁজি পান প্রোটিয়ারা। বল হাতে রাবাদা-লুঙ্গির তোপে লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারেননি ক্যারিবীয়রা।
শনিবার রাতে গ্রেনাডার সেইন্ট জর্জেস ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংসের তৃতীয় বলেই সাজঘরে ফিরে যান দলের অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ম্যারাথন জুটিতে প্রথম ধাক্কা সামলে নেন মার্করাম- ডি কক।
ডানহাতি-বাঁহাতির জুটিতে মাত্র ১৩.৪ ওভারে আসে ১২৮ রান। ৪ চার ও ২ ছয়ের মারে ৪২ বলে ৬০ রান করেন ওপেনার ডি কক। মার্করামের ব্যাট থেকে আসে ৭০ রান। ৪৮ বলের খেলায় ৩ চার ও ৪ ছয়ের মার ছিল তাতে। এ দুজন ভিত গড়ে দিলেও বাকিরা কিছুই করতে পারেননি। রসি ফন ডার ডুসেন ২ বলে ১ রান করে ব্রাভোর বলে ধরা পড়েন। উইয়ান মাল্ডাররা ৯ বলে ৯ করেন। দলের অন্যতম ব্যাটসম্যান ডেভিড মিলার ১৬ বলে ১৮ করেন। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৬৮ রান জমা করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে বল হাতে ২ উইকেট নেন ৩৯ বছর বয়সি ফিদেন এডওয়ার্ডস। এ ছাড়া ডোয়াইন ব্রাভো ও ওভেদ ম্যাকয়ের শিকার একটি করে উইকেট।
১৬৯ রানের তাড়ায় ব্যাট হাতে নেমে ৩ রানেই বিদায় নেন ওপেনার লেন্ডল সিমন্স। তবে সমানে ব্যাট চালিয়ে যান এভিন লুইস। ৩০ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন লুইস। তাবরাইজ শামসির ফ্লাইটে বিভ্রান্ত হয়ে গেইল আউট হন ১১ রান করে। ছক্কা মারার চেষ্টায় ৩২ বলে ৫২ করে এনগিদি লুঙ্গির জালে ধরা দেন লুইস।
এর পর শিমরন হেটমায়ার ছাড়া প্রোটিয়াদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি। ৩১ বলে ৩৩ রানের কেমিও ইনিংস খেলে লুঙ্গির বলে ধরা দেন তিনিও।নিকোলাস পুরান করেন ১৪ বলে ২০ রান। কিন্তু হেটমায়ার ও পুরানের ইনিংস দুটি জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান করতে সক্ষম হন স্বাগতিকরা। ফলে ২৫ রানে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
Leave a Reply