বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোংলায় ইউপি মেম্বারের টর্চারসেলে দুই ভাইকে উলঙ্গ করে নির্যাতনের ঘটনায় প্রধান আসামি ও চাঁদপাই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সুলতান হাওলাদারসহ (৫০) চারজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গ্রেফতার অপর তিনজন হলেন-সুলতান মেম্বার বাহিনীর সদস্য খোকন ঘোষাল (৩০), বেল্লাল খাঁ (৪৫) ও মো. নিয়ামুল ব্যাপারী (৩০)। তাদের বাড়ি বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার কানাইনগর ও কালিকাবাড়ী গ্রামে। রবিবার সন্ধ্যায় র্যাবের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাগেরহাট সদরের ষাটগম্বুজ মসজিদ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। সোমবার সকালে র্যাব-৬ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে, দেশব্যাপী আলোচিত এ ঘটনার মূলহোতা সুলতান মেম্বারের পুত্র জাকির হাওলাদারকে রবিবার সকালে মোংলার কানাইনগর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। র্যাব জানান, শনিবার সকালে বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌরসভার বাংলাদেশ হোটেলের সামনে থেকে বিনোদ সরকার ও বিপ্লব সরকার নামে দুই ভাইকে তুলে নেয় মেম্বার সুলতান ও তার দুই ছেলেসহ অন্য সহযোগীরা। পরে সিঙ্গাপুর মার্কেটে ও কাইননগরে গুচ্ছগ্রামে নিয়ে তাদের টর্চারসেলে উলঙ্গ করে ৫ ঘণ্ট ধরে দফায় দফায় নির্যাতন চালানো হয়। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মোংলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে থানায় নির্যাতিতদের ভাই কাইনমারী গ্রামের কুমুদ সরকার বাদী হয়ে মোংলার চাঁদপাই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সুলতান হাওলাদার, তার ছেলে জাকির হাওলাদার ও কালাম হাওলাদারসহ ১৪ জনকে আসামি করে ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুটসহ হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন।
দেশব্যাপী আলোচিত এ ঘটনার পর র্যাব-৬ ছায়া তদন্ত ও আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬ সদর কোম্পানির একটি দল গোপন সংবাদে জানতে পারে প্রধান আসামি মেম্বার সুলতান হাওলাদারসহ অন্যরা বাগেরহাট সদরে আত্মগোপনে রয়েছে।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার সন্ধ্যায় র্যাবের আভিযানিক দলটি বাগেরহাট সদরের ষাটগম্বুজ মসজিদ এলাকা থেকে প্রধান আসামি মেম্বার সুলতান হাওলাদারসহ চারজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার আসামিদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মোংলা থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।
Leave a Reply