1. nokhatronews24@gmail.com : ajkarsatkhiradarpan darpan : ajkarsatkhiradarpan darpan
  2. install@wpdevelop.org : sk ferdous :
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে চাম্পাফুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান - আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ
বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন
২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
📰কাটিয়া আমতলায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল📰মশার উৎপাতে নাজেহাল সাতক্ষীরাবাসী, দ্রুত প্রতিকার চান নাগরিকরা📰সাতক্ষীরা পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজে চাকুরী স্থায়ীকরণের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন শিক্ষক আক্তারুল📰ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে চাম্পাফুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান📰সাতক্ষীরায় কৃত্রিম সার সংকট📰দ্বীন প্রতিষ্ঠায় নারীদেরকে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করতে হবে-মুহাঃ আব্দুল খালেক📰নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া–ফিরে আসা নিশ্চিত করাই পুলিশের কাজ- এসপি আরেফিন জুয়েল📰সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট ক্লাবের আত্মপ্রকাশ📰বড়দলে এমপি প্রার্থী রবিউল বাশারের গণসংযোগ, মহিলা সমাবেশ,সনাতন ধর্মাবলম্বী ও ভাটা শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময়📰বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বাশদহায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে চাম্পাফুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৮ সংবাদটি পড়া হয়েছে

দেয়াল-পিলারে ফাটল, ছাদ থেকে খসে পড়ছে প্লাস্টার; শিক্ষার্থীদের প্রাণহানির শঙ্কা
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার চাম্পাফুল ইউনিয়নের ৮৬ নং চাম্পাফুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কয়েক বছর ধরে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ছাদ থেকে প্রায়ই প্লাস্টার খসে পড়ে, কোথাও কোথাও রড বেরিয়ে আছে, বৃষ্টিতে শ্রেণিকক্ষে পানি পড়ে এবং দেয়াল, ছাদ, পিলার ও বীমে দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। ঝুঁকির কারণে কয়েকটি কক্ষে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। এমন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ১৯৯৬ সালে নির্মিত তিন কক্ষের পুরোনো ভবনের একটি কক্ষ ব্যবহার করা হচ্ছে অফিস হিসেবে; অন্য দুই কক্ষে দুই শিফটে চলছে পাঠদান। ছাদের আস্তরণ খসে পড়ে বড় গর্ত তৈরি হয়েছে, বৃষ্টি হলে পানি ঢুকে শ্রেণিকক্ষ ভিজে যায়। ভবনের ভেতর–বাইরের দেয়াল ও পিলারেও ফাটল দেখা দিয়েছে। এসব কারণে শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্যে স্কুলে আসে।
বিদ্যালয়সূত্র জানায়, স্থানীয়দের উদ্যোগে ১৯১০ সালে ৪৮ শতক জমির ওপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন ভবনটি ছিল তিন কক্ষের টিনশেড। বহু বছর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকার পর ২০১৯ সালে টিনশেড ভবনটি নিলাম হয়। এরপর ১৯৯৬ সালে সরকারি অর্থায়নে তিন কক্ষবিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মিত হলেও বছরের পর বছর ব্যবহারের ফলে ভবনটি সম্পূর্ণ জরাজীর্ণ হয়ে অকেজো হয়ে পড়েছে।
এছাড়া ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে পিইডিপি-২ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত দুই কক্ষবিশিষ্ট অপর ভবনটিতেও জায়গার সংকট প্রকট। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। মাত্র দুই কক্ষে ৮ জন শিক্ষককে ৩১১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে পাঠদান করতে হচ্ছে, যা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ও শিক্ষার মানের জন্য হুমকিপূর্ণ।
পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানায়, “ভাঙ্গা কক্ষে পড়তে খুব ভয় লাগে। প্রায়ই ছাদ থেকে প্লাস্টার পড়ে কারো না কারো গায়ে লাগে।” বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রাক-প্রাথমিক ৩৯, প্রথম শ্রেণিতে ৫৪, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৫৫, তৃতীয় শ্রেণিতে ৬০, চতুর্থ শ্রেণিতে ৫৩ এবং পঞ্চম শ্রেণিতে ৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাহানা খাতুন বলেন, ২০১১ সালে যোগদানের পর থেকেই তিনি দেখছেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংস্কার করে কোনোরকমে পাঠদান চালানো হচ্ছে। অভিভাবকদের বড় অংশ তাদের সন্তানকে মাদরাসা বা কিন্ডারগার্টেনে পাঠাতে আগ্রহী হয়ে পড়ছেন- একদিকে ভবনের জীর্ণদশা, অন্যদিকে অবকাঠামোগত ঘাটতি শিক্ষার পরিবেশকে নষ্ট করছে। তিনি জানান, নতুন ভবন অনুমোদনের জন্য বার বার চিঠি দেওয়া হলেও এখনও কোন কার্যকর অগ্রগতি হয়নি।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, “বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি হওয়ায় নতুন ভবন অত্যন্ত জরুরি। ইতোমধ্যে নতুন ভবনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করছি প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৫) এর আওতায় অনুমোদন পাওয়া যেতে পারে।”

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :

সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি:

এম এ কাশেম (পিএইচডি -গবেষক,এডুকেশন-মালেশিয়া) এম এ ক্রিমিনোলজি, এমবিএ-লন্ডন।).....01748159372

সম্পাদক ও প্রকাশক:

মো: তুহিন হোসেন (বি.এ অনার্স,এম.এ)...01729416527

© All rights reserved © 2020-2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd