নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে পাঁচ বছরের এক শিশুকন্যাকে খাবারের লোভ দেখিয়ে নির্জন বাড়িতে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে তিন কিশোরের বিরুদ্ধে। রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি ও অভিযুক্তদের আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ২টার দিকে উপজেলার কুশলিয়া ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের ভূমিহীন পল্লীতে।
অভিযুক্ত কিশোররা হলো উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে নাঈম (১৪), তার ভাই সিয়াম (১২) ও একই গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে ভ্যানচালক শফিকুল ইসলাম (১৫)।
ধর্ষিতা শিশুর ভাই ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বাড়ির পাশে খেলা করার সময় নাঈম, সিয়াম ও শফিকুল শিশুটিকে খাবার খেতে দেয়ার কথা বলে একটি নির্জন ঘরে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করে। মেয়েকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে কান্নার শব্দ শুনে ওই বাড়িতে গেলে ধর্ষকরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পাশবিক নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিকেল ৫টার দিকে পিরোজপুর এলাকায় অবস্থিত একটি ইটভাটা থেকে ৩জনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর মা বাদী হয়ে কালিগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মিজানুর রহমান জানান, ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩জনকে শুক্রবার দুপুরে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনা জানার পর সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম শুক্রবার সকালে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুটিকে দেখতে যান। পরে তিনি কালিগঞ্জের পিরোজপুর গ্রামে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ সুপার নিজেই মামলাটি মনিটরিং করবেন বলে ভুক্তভোগীর পরিবারকে আশ্বস্ত করেছেন। অতি দ্রুত তদন্ত শেষ করে আদালতে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে বলে জানান ওসি মিজানুর রহমান।
Leave a Reply