নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কলারোয়ায় চাল ও আটার দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্ম আয়ের মানুষেরা পড়েছে বিপাকে। ঠিক সেই মুহুতেই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কলারোয়া পৌর এলাকায় ২৫জুলাই থেকে ৩টি পয়েন্টে একযোগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ এর আওতায় খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত খোলা বাজারে (ওএমএস) চাল প্রতি কেজি-৩০টাকা ও আটা প্রতি কেজি-১৮ টাকায় বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে। দীর্ঘ সারিতে দাড়িয়ে তারা কিনছেন এই দুটি খাদ্য পন্য। নি¤œ ও মধ্যবিত্ত মানুষেরা ওএমএস এর চাল ও আটা কিনতে বর্তমানে ঝুকি পড়েছে। সকাল থেকে লাইনে দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে শত শত নারী ও পুরুষের। কলারোয়া বাজারে চালের দাম বেড়ে গরীবের মোটা চালের কেজি হয়েছে ৪০থেকে ৫০টাকায়। তাই নি¤œ আয়ের মানুষরা ছুটছেন ন্যায্যমূল্যে খোলা বাজারের ওএমএস ডিলারদের কাছে। উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা আলিমুদ্দীন মোড়ল, জানান-সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার বাদে প্রতিদিন ওএমএস কর্মসূচির জন্য প্রত্যেক ডিলারকে দেড় টন করে চাল ও এক টন করে আটা প্রতিদিন বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। চাল প্রতি কেজি ৩০টাকা এবং আটা ১৮টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। ওএমএস-এর দোকান থেকে জন প্রতি ৫কেজি চাল অথবা আটা কিনতে পারবেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, কলারোয়া পৌর এলাকায় হরিতলা মোড়ে ওএমএসের ডিলার নরেন্দ্র নাথ ঘোষ নায্য মূল্যে বিক্রয় করছেন। তিনি বলেন, এখন চাল ও আটার মান খুব ভালে, চাহিদা অনেক বেশি। বাজারে বাড়তি দামে চাল ও আটা কিনতে নাভিশ্বাস উঠেছে নিম্ন আয়ের মানুষের। তাই তারা ছুটছেন ও এমএসের ডিলারের কাছে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিক্রয় করা হচ্ছে। লাইনে দাড়ানো চাল কিনতে আসা নারী মমতা রিতা, ঝর্ণা খাতুন জানান, তারা সকাল ৭টায় এসে দাড়িয়েছেন চাল ও আটা নেয়ার জন্য। ঝিকরা ওয়ার্ডের বাসিন্দা তুলসি রানী বলেন, বাজারে চাল ও আটার দাম অনেক বেশী। এখানে একটু কম দামে চাল ও আটা পাওয়া যাচ্ছে তাই লাইনে দাড়িয়েছি। কলারোয়া পৌর সভার মেয়র প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বুলবুল বলেন-উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ভিজিডি ও ভিজিএফ চালের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু পৌর এলাকায় এই ধরনের কার্যক্রম না থাকায় অনেক অসহায় মানুষেরা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পৌর এলাকায় ওএমএম এর ব্যবস্থা করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পৌরবাসীর পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ওএমএস এর এই সুবিধা চলমান রাখার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানান। এদিকে কলারোয়া পৌর এলাকার শত শত নারী ও পুরুষ ওএমএস এর এই চাল ও আটা বিক্রয় চলমান রাখার জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের প্রতি দাবী জানিয়েছেন।
Leave a Reply