নিজস্ব প্রতিনিধি: যশোরের ডিবি পুলিশ আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের ১০ সদস্যকে আটক করেছে। এ সময় চার জেলায় অভিযান চালিয়ে ১১টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে তিনটি মাস্টার কি (চাবি), মোটরসাইকেল বিক্রির কুরিয়ার সার্ভিসের রশিদ এবং দুই লাখ ২৫ হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
আটক ১০ জন হলেন– যশোর সদরের বালিয়াডাঙ্গা মাঠপাড়ার মতি মোল্লার ছেলে নুর ইসলাম (৩০), সুলতানপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের বাড়ির ভাড়াটিয়া গোলাম মোস্তফার ছেলে আল আমিন শেখ (২৮), উপশহর ৭ নম্বর সেক্টরের আব্দুর রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়া জকির হোসেনের ছেলে আক্তার হোসেন (৩৯), বেজপাড়া মাঠপাড়ার আকসেদ গাজীর ছেলে ফারুক গাজী (৩৬), নরেন্দ্রপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে কবির ওরফে নুর ইসলাম (৪০), মাগুরা সদরের পার নান্দুয়ালী মোল্লাপাড়ার মুন্সি মাহমুদুল হকের ছেলে মজিবুল হক (৩৩), আসলাম মোল্লার ছেলে রশিদুল হক (৩২), এনামুল হকের ছেলে চঞ্চল (৩১), যশোরের কেশবপুর উপজেলার কাজীরবেড় গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে সাধু (৩২) এবং রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার স্বর্পবেতেঙ্গা গ্রামের জোমারত মল্লিকের ছেলে সালাম মল্লিক (৩৬)।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে, যশোরের ঝিকরগাছা ও কেশবপুর এলাকার দুটি মোটরসাইকেল চুরির মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ এই সিন্ডিকেটের সন্ধান পায়। গত বুধবার দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত যশোর, মাগুরা ও রাজবাড়ির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে আটক করা হয়। এ সময় চোরাই ১১টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে মোটরসাইকেল চুরির কাজে ব্যবহৃত তিনটি মাস্টার কি জব্দ করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সাইফ (অ্যাডমিন ও অপরাধ) জানিয়েছেন, এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা মোটরসাইকেল চুরি করে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করতো। যশোরের এসএ পরিবহন ও জননী কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে চোরাই মোটরসাইকেল পাচার করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে প্রমাণ আছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সাইফ জানিয়েছেন, সাধারণত কুরিয়ার সার্ভিসে মোটরসাইকেল পাঠানোর সময় সংশ্লিষ্ট গাড়ির কাগজপত্র যাচাই করে নেওয়া হয়। বুকিং হওয়া গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের ছায়াকপি কুরিয়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ নিয়ে থাকে। কিন্তু কীভাবে উদ্ধার হওয়া মোটরসাইকেল কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাচার হলো তা তদন্ত করে দেখা হবে। আটক ১০ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে।
Leave a Reply