ক্রীড়া ডেস্ক: প্রথম ৩ বলে ওয়াইডসহ ৪ রান। চতুর্থ বলে ফুলটস পেয়ে হক্কা মেরেছিলেন ফন মিকেরেন। পঞ্চম বলে আবার তুলে মেরেছিলেন, তবে বাউন্ডারির বেশ ভেতরেই পড়েছে সেটি। শেষ বলে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন মিকেরেন। ৯ রানে হেরে বিশ্বকাপ শুরু করেছে বাংলাদেশ।
সৌম্যর করা শেষ ওভারের প্রথম ৩ বলে ওয়াইডসহ ৪ রান। চতুর্থ বলে ফুলটস পেয়ে ছক্কা মেরেছিলেন ফন মিকেরেন। পঞ্চম বলে আবার তুলে মেরেছিলেন, তবে বাউন্ডারির বেশ ভেতরেই পড়েছে সেটি। শেষ বলে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন মিকেরেন।
১৪৪ রানের সংগ্রহ লড়াই করার মতোই ছিল। তবে তাসকিন আহমেদ প্রথম ২ বলেই ২ উইকেট নিয়ে চাপে ফেলে দেন নেদারল্যান্ডসকে। এরপর সাকিবের ওভারে ২ রানআউটে চাপ আরও বাড়ে ডাচদের। সেটি থেকে আর বের হতে পারেনি তারা।
বলতে গেলে একা লড়াই করেছেন কলিন অ্যাকারম্যান, তবে দলকে পার করাতে পারেননি। ব্যাটিং খুব একটা সন্তোষজনক না হলেও বোলিং ও ফিল্ডিং সাকিবকে সন্তুষ্টই করার কথা। অবশ্য পঞ্চম বোলার হিসেবে মোসাদ্দেক ও সৌম্যকে খেলানোর কৌশল নিয়ে বাংলাদেশ দলকে ভাবতে হবে নতুন করেই। আগামী ২৭ অক্টোবর সিডনিতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।
রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশি পেসার তাসকিন আহমেদ ইনিংসের প্রথম দুই বলেই তুলে নেন নেদারল্যান্ডের দুই উইকেট। প্রথম বলে করিডোর অফ আন্সার্টেইন্টিতে খোঁচা মেরে ডাচ ওপেনার বিক্রমজিৎ সিং ফেরে ইয়াসির আলী ক্যাচ নিলে। পরের বলেই বাস ডি লিডকেও উইকেটের পিছনে নুরুল হাসান সোহানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরান দেশসেরা এই পেসার।
এরপর নেদারল্যান্ডকে চাপে রেখে রান আটকে রাখলেও উইকেট নিতে পারছিলেন না বাংলাদেশের বোলাররা। কিন্তু সাকিব আল হাসান চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসে ওই ওভারে দুটি রানআউট করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ। ম্যাক্স ও’ডাউড (৮) এর পর টম কুপার কোনো বল মোকাবিলা করতে না পেরেই ‘ডায়মন্ড ডাক’ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন।
এরপর কলিন অ্যাকারম্যান আর অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস মিলে ৪৪ রান করে জুটি দাঁড় করিয়ে ফেলেছিলেন। তাতে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশও। তবে সেই অস্বস্তি থেকে সমর্থকদের মুক্তি দিয়েছেন সাকিব। ডাচ অধিনায়ক এডওয়ার্ডসকে (১৬) ফিরিয়েছেন তিনি। এনে দিয়েছেন বহু আকাঙ্ক্ষিত ‘ব্রেক থ্রু’টা।
পরের ওভারে আঘাত হানলেন হাসান মাহমুদও। বোল্ড করেন টিম প্রিঙ্গলকে, যিনি বলদুয়েক আগেই নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ তুলেও বেঁচে ফিরেছিলেন। দলীয় ৬৬ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে বসার পর বৃষ্টিতে কিছু সময় খেলা বন্ধ থাকার পর ডাচরা আবার ব্যাটিংয়ে নামলে একা হাতে ম্যাচ বের করার চেষ্টা করছিলেন অ্যাকারম্যান। তবে অপর প্রান্ত্রে লোগান ভ্যান বিক ও সারিজ আহমেদের উইকেট তুলে নেন টাইগাররা।
কিন্তু ঠিকই ফিফটি তুলে নেন অ্যাকারম্যান। এই ব্যাটার ৪৮ বলে ৬২ রান করে তাসকিনের বলে ফেরার পর বাংলাদেশ জয়ের দাঁড়প্রান্তে পৌছে যায়। ফলে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানে অলআউট হয় ডাচরা।
বোলিংয়ে বাংলাদেশের হয়ে ২৫ রানে ৪ উইকেট নেন পেসার তাসকিন আহমেদ। এছাড়া আরেক পেসার হাসান মাহমুদ ২টি, সাকিব ও সৌম্য নেন ১টি করে উইকেট।
Leave a Reply