শহর প্রতিনিধি: দীর্ঘদিন যাবৎ পানি সংকটে ধুকছে সাতক্ষীরা শহরবাসি। পানির জন্য রীতিমত সাতক্ষীরা শহরে হাহাকার শুরু হয়েছে। খাবার ও ব্যবহারের পানির জন্য সাতক্ষীরা শহরের মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। সাতক্ষীরা পৌরসভার পানির গ্রাহকদের এ সমস্যা চলছে কয়েক মাস ধরে। মাসাধিককাল ধরে এ অবস্থা প্রকট হয়েছে। বর্তমানে পৌরসভার অধিকাংশ এলাকার গ্রাহকেরা খাবার পানির পাশাপাশি গোসল করার মতো পানিও পাচ্ছেন না। সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে খাবার ও ব্যবহারের পানির জন্য পানি পাচ্ছেন না। বিকল্প উপায়ে তাদের পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, সাতক্ষীরা পৌরসভার মুনজিতপুর, দক্ষিণ কাটিয়া, উত্তর কাটিয়া, লস্করপাড়া, মাস্টারপাড়া কাছারিপাড়া, সরকারপাড়া, মধুমোল্লারডাঙ্গী, রাজারবাগান, পুরোনো সাতক্ষীরা, কামালনগরের পশ্চিমাংশ, পারকুকরালি, মিয়াসাহেবেরডাঙ্গীসহ শহরের অধিকাংশ স্থানে মাসাধিককাল ধরে প্রয়োজনীয় পানি পাচ্ছেন না গ্রাহকেরা।
সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া মাস্টারপাড়া এলাকার কয়েকজন জানান, কয়েক মাস ধরে তারা খাবার ও ব্যবহারের পানি পাচ্ছেন না। আগে মাঝেমধ্যে খাবার জন্য পানির সরবরাহ পাওয়া গেলেও বর্তমানে তাও মিলছে না। এতে করে গোসল, শৌচাগারসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজে পানি মিলছে না। শহরের কয়েকটি এলাকা ছাড়া অধিকাংশ এলাকায় পানির জন্য চলছে হাহাকার। বাড়িতে পয়োনিষ্কাশনের কাজ সারার মতো এমন পানিও পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন অনেকেই।
কাটিয়ার কিছু লোক বলেন, পানির অভাবে সাতক্ষীরা শহরের মানুষ দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছে। শহরের অনেক এলাকায় খাবার পানিও পাওয়া যাচ্ছে না। মানুষ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থেকে পানি সংগ্রহ করে পান করছে। তাঁরা আরও জানান, সাতক্ষীরা শহরে ১৫ বছর আগে অনেক পুকুর ছিল। ওই সব পুকুরের অধিকাংশই ভরাট করে বাড়িঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে পৌরসভার পানি সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকলে পানির জন্য হাহাকার পড়ে যায়।
সাতক্ষীরা পৌরসভা সূত্র জানায়, চাহিদা অনুযায়ী পানি উৎপাদন করা যাচ্ছে না। শহরে প্রায় ১ কোটি লিটার পানি গ্রাহকদের সরবরাহ করা যায়। মোটর দিয়ে পানি তুলে পাঁচটি এলাকার ট্যাংক ভরে সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে পৌরসভার পানির প্রয়োজন ১ কোটি ৪০ লাখ লিটার। সেখানে বর্তমানে সরবরাহ করা যাচ্ছে ৬০ লাখ লিটারের মতো। তাছাড়া যান্ত্রিক ত্রæটির কারণে মেশিন অকেজো হওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী পানি সরবরাহ করতে ব্যাঘাত হচ্ছে বলে জানায় সূত্রটি।
Leave a Reply