নিজস্ব প্রতিনিধি: একজন সফল চারা ব্যাবসায়ী আকতার সরদারের বাড়ির আঙ্গিনায় লাগানো একটি আমড়া গাছে থোকায় থোকায় শতাধিক আমড়া হয়েছে। এলাকার শত শত মানুষ প্রতিদিন দেখতে ভীড় জমাচ্ছে দেখতে। সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার শুভংকরকাটি গ্রামের চারা ব্যবসায়ী আকতার সরদার বিভিন্ন বনজ ও ফলজ গাছের চারা বিক্রি করেন।সেখান থেকে একটি আমড়া গাছে ভেঙে যায় কোন ক্রেতা মিলছিলো না।বিক্রি না করতে পেরে বাড়ির আঙিনায় রোপন করেন ভাঙ্গা গাছটি। সেই গাছে এখন ঠোকায় ঠোকায় শতাধিক আমড়া হয়েছে। নতুন আমড়ার জাত উদ্ভাবন হয়েছে বলে ধারনা করছেন অনেকেই। এ ছাড়া আমড়া ক্যালসিয়ামের চাহিদা প‚রণে বেশ কার্যকর। মৌসুমী ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে খেতে পারেন এই ফলটি। মোটকথা কোন ক্ষতির কিছু নেই, মানব দেহের জন্য যথেষ্ট উপকারী আমড়া। প্রকাশ, আমড়ার ইংরেজি নাম হোগ প্লুম একপ্রকার ফল যা মাঝারি আকারের পর্ণমোচী বৃক্ষে ফলে। বৈজ্ঞানিক নাম স্পন্ডিয়াস পিননাটা কুর্জ বা স্পন্ডিয়াস মম্বিন, পরিবার: অনাকার্ডিয়াসেই। বাংলাদেশ ছাড়াও আফ্রিকা, ভারত, শ্রীলংকা এবং ইন্দোনেশিয়ায় এই গাছটি জন্মে।আমরা গাছগুলো ২০-৩০ ফুট উঁচু হয়, প্রতিটি যৌগিক পাতায় ৮-৯ জোড়া পত্রক থাকে, পত্রদন্ড ৮-১২ ইঞ্চি লম্বা এবং পত্রকগুলো ২-৪ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। কাঁচা ফল টক বা টক মিষ্টি হয়। তবে পাকলে টকভাব কমে আসে এবং মিষ্টি হয়ে যায়। ফলের বীজ কাঁটাযুক্ত। ৫-৭ বছরেই গাছ ফল দেয়। আমড়া কাঁচা ও পাকা অবস্থায় রান্না করে বা আচার বানিয়েও খাওয়া যায়। চারা ব্যাবসায়ী আকতার সরদার জানান, ২০২০ সালে পাইকগাছায় গদাই পুর এলাকা আমড়া গাছটি বিক্রি না করতে পেরে বাড়ির আঙিনায় রোপন করি ভাঙ্গা।গাছটি রোপনের একই বছরে গাছে আমড়া ধরে স্বাভাবিক ভাবেই। প্রতিটি বোঁটায় একটি, দুই টি বা তিনটি। কিন্তু আলাদিনের চেরাগের মতো এ বছরে অলৌকিক ঘটনা ঘটে গাছটিতে প্রতিটি বোঁটায় তিন থেকে চার শত আমড়া ধরেছে কিন্তু আকারে ছোট। কোন জাতের আমড়া এটি জানেন না তিনি বলেন জানান।তিনি আরো বলেন আমার জীবনের এমন আমড়া আগে কখনো দেখিনি। অন্যের কাছে বিক্রি করা গাছে কেমন আমড়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেই সব গাছে স্বাভাবিক ভাবেই আমড়া হয়েছে।কিন্তু আমার এই গাছে একি কোন ধরনের আমড়া সেটি বলতে পারবোনা সবি আল্লাহর নিয়ামত।তিনি বলেন, দুই বছর বয়সী গাছে এবার ১২ থেকে ১৩ টি বোঁটায় আমড়া ধরেছে প্রতিটি থোকায় তিন থেকে চার শত করে আমড়া ধরেছে।
Leave a Reply