দুর্নীতির আখড়ায় পরিণতি হয়েছেন সাতক্ষীরা সদর সাব রেজিস্টার অফিস!!
সাতক্ষীরা সদর সাব রেজিস্টার অমায়িক বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ কোথায়??
সাব রেজিস্টার অমায়িক বাবু ঘুষ গ্রহণের টাকা দিতে বলেন মহসিন এর কাছে!!
জেলা জুড়ে সাতক্ষীরা সাব রেজিস্টার ঘুষ বাণিজ্যের নিয়ে আলোচনার ঝড়!!!
ঘুষের আড্ডায় বসেছেন সাতক্ষীরা সদর সাব রেজিস্টার অফিসে!!!!
স্টাফ রিপোর্টার :
সাতক্ষীরা সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ গ্রহণকারী মহসিনের ক্ষমতার মূল উৎস হলো জেলা রেজিস্ট্রারের আস্থাভাজন হওয়া এবং একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলা যা এই ঘুষ বাণিজ্যের জন্য কাজ করে। তিনি এবং তার সহযোগীরা মিলে একটি চক্র তৈরি করেছেন যেখানে টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না এবং ঘুষের টাকা বিভিন্নভাবে আদায় করা হয়, যা সাধারণ মানুষ ও দলিল লেখকদের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে।
ক্ষমতার উৎস:
জেলা রেজিস্ট্রারের আস্থাভাজন: মহসিন দীর্ঘকাল ধরে একই কর্মস্থলে থাকার কারণ হিসেবে জেলা রেজিস্ট্রারের আস্থাভাজন হওয়াকে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সমর্থনই তার এই ক্ষমতার মূল ভিত্তি।
সিন্ডিকেট গঠন: মহসিন ও তার সহযোগীরা (যেমন হাবিব ও বাচ্চুসহ আরোও অনেকেই) মিলে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন, যেখানে তারা জেলা অফিসের জন্য বিভিন্ন অফিস থেকে টাকা সংগ্রহ করে থাকেন।
চক্রাকার ঘুষ গ্রহণ: এই সিন্ডিকেট অফিসের ভেতরে ও বাইরে টাকা আদায়ের একটি চক্র তৈরি করেছে। তারা দলিল প্রতি বা জমির প্রকৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন অঙ্কের টাকা ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করে।
আইন ও নিয়ম ভাঙা: এই চক্রটি টাকা ছাড়া কোনো কাজ করে না এবং আইনকে উপেক্ষা করে নিজেদের ইচ্ছামতো ঘুষের রেট বাড়িয়ে চলেছে। অর্থাৎ, মহসিন সরাসরি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সমর্থন ও একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এই অবৈধ ক্ষমতার অধিকারী হয়েছেন এবং সাতক্ষীরার সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে চাহিদা মোতাবেক ঘুষের টাকা ছাড়া কোন দলিল হয়না বলে অনেকের অভিযোগ তাছাড়া অভিযোগ আছেন ৫ আগস্টের পর সরকার পতনের হওয়ার পর বিভিন্ন ধরনের নেতা ও সাংবাদিক পরিচয় এই ঘুষ-বানিজ্যয় মেতে উঠেছেন সাতক্ষীরা সাব রেজিস্টার অফিসের প্রতিটি খাতে একজন সেবা গ্রহিতা অফিসে ঢুকেই প্রথমে দিতে হয় ঘুষ। পরে আরেকবার পোস্টমোর্টেম করেন খোদ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিরা। এ যেন হরিলুটের বাতাসা। দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস। যে যেভাবে পারছে ছিনিয়ে নিচ্ছে এমনই অভিযোগ পাওয়া গেছে কতিপয় কর্মচারিদের বিরুদ্ধে। আর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদের। বারবার তাদের এই ঘর বাণিজ্য দুর্নীতির নিউজ প্রকাশ করলে থামছেন না তাদের এই ঘুষ বাণিজ্য বড়বাবুর কলমও চলছে না টাকা ছাড়া এমনই পৌরনীতি বর্তমান সাতক্ষীরা সাব রেজিস্টার অফিস সূত্র জানায়, গত কয়েক বছর যাবত সাতক্ষীরা সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস নিয়ন্ত্রণ করে আসছে অফিস সহকারি মহসিন সহ কয়েকজন কর্মচারী। তাদের নেত্রীত্বে রয়েছে কয়েকজন সিন্ডিকেট সদস্য টিসি সহকারী হাবিব ও অফিস সহায়ক বাচ্চু ও জাহিদ। এর মধ্যে মহসিনের বিরুদ্ধে আছে হাজারো অভিযোগ। দলিল লেখকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন হরহামেশা। চুক্তি ছাড়া হয়না দলিল। সাবরেজিষ্ট্রারও বলে দেন মহসিনের কথা। মহসিনের অত্যাচারে অতিষ্ট দলিল লেখক ও সাধারণ মানুষ। জানা গেছে, জেলা রেজিষ্ট্রারের আস্থাভাজন হওয়ায় দীর্ঘ দিন একই কর্মস্থলে আছেন। হাবিব ও বাচ্চু জেলার সকল অফিস থেকে জেলা অফিসের জন্য কালেকশন করে থাকে।সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের ঘুষের টাকা গ্রহণকারী মহসিন দলিলের পর্চার ফটোকপি হলে মূল্য অনুযায়ী ১৫/২০ হাজার টাকা, পাওয়ার থেকে জমি হস্তান্তর হলে ১০হাজার থেকে লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে থাকেন। আর দলিল প্রতি টাকা তো আছেই।কোন জমি প্লট আকারে ক্রয়-বিক্রয় করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শতকরা ৫% রাজস্ব প্রদানের বিধান রয়েছে কিন্তু এক্ষেত্রে তিনি দলিল লেখকের মাধ্যমে দাতা গ্রহীতাকে প্লট ঘোষণা দিতে নিষেধ করেন। ফলে দাতা, গ্রহীতা ও সাব-রেজিষ্ট্রার সকলেই লাভবান হলেও সরকারের ব্যাপক রাজস্বে ক্ষতি হয়। তার কার্যকলাপে সাতক্ষীরা সদর রেজিস্ট্রি অফিসে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ এখন অতিষ্ঠ। তার বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণে দাবী সাতক্ষীরাবাসী। খুলনা বটিয়াঘাটা সাবরেজিষ্টার অমায়িক বাবু গত ১৭-০৪-২৫ তারিখে যোগ দানের শুরুতেই তিনি শুরুতেই জড়িয়ে পড়েছেন বিভিন্ন অনিয়মের সাথে। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর সাবরেজিষ্ট্রার অমায়িক বাবু তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমি মোবাইল কেন কথা বলতে চাই না আপনি অফিসে আসেন এব্যাপারে জেলা রেজিষ্ট্রার হাফিজা খাতুন রুমা জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবো। দুর্নীতির সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য সাতক্ষীরাবাসী প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা ও দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply