আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কোনো ধরণের পূর্বঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে ইউক্রেন সফরে গেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সফরে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন।শনিবার কিয়েভে এ দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠক হয়েছে বলে খবর দিয়েছে রয়টার্স। বৈঠক শেষে ইউক্রেনে নতুন অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তার প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারেন বরিস জনসন।ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে কিয়েভের রাস্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে হাটতেও দেখা গিয়েছে। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, এই দুই রাষ্ট্রনেতা পথচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ও করেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, দেখা যায় রাস্তা দিয়ে হাটার সময় সাধারণ মানুষ বরিস জনসনকে স্বাগত জানান। বরিস জনসনকেও এগিয়ে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। এসময় সাধারণ ইউক্রেনীয়দের কথা বরিসকে অনুবাদ করে দেন জেলেনস্কি। এই দুই রাষ্ট্রনেতাকে কাছে পেয়ে সাধারণ মানুষ তাদের স্মারক উপহার দেন।
গত সপ্তাহে ইউক্রেনের রাজধানীর আশপাশ থেকে রাশিয়া সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর প্রথম বিদেশি নেতা হিসেবে কিয়েভ সফর করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের উপপ্রধান আন্দ্রি সিবিহা ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, জেলেনস্কির সাথে একক বৈঠকের মাধ্যমে জনসনের কিয়েভ সফর শুরু হয়েছে। জেলেনস্কির কার্যালয়ের প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা যায়, দুই রাষ্ট্রনেতা টেবিলে মুখোমুখি বসে বৈঠক করছেন।
ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ইউক্রেনীয় জনগণের প্রতি সংহতি প্রদর্শনে জেলেনস্কির সাথে দেখা করেছেন জনসন।‘তারা ইউক্রেনে যুক্তরাজ্যের দীর্ঘমেয়াদী সহায়তা নিয়ে আলোচনা করবেন। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক ও সামরিক সহায়তার একটি নতুন প্যাকেজ নির্ধারণ করবেন,’ বলেছেন ওই মুখপাত্র।
জেলেনস্কির টেলিগ্রাম চ্যানেলে জনসনকে ‘রাশিয়ার আগ্রাসনের সবচেয়ে নীতিগত বিরোধীদের অন্যতম, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং ইউক্রেনে প্রতিরক্ষামূলক সহায়তাদানকারী একজন নেতা’ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
তবে কিয়েভে জনসনের সফরের বিষয়ে আগাম কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। কিয়েভের শহরতলী থেকে রাশিয়া সৈন্য সরিয়ে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে নেওয়ার পর দেশটি সফরে গেছেন ব্রিটিশ এই প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে, শনিবার এক টুইট বার্তায় জনসন বলেন, ‘যুক্তরাজ্য ইউক্রেনে আরও প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র-সরঞ্জাম পাঠাবে এবং পুতিনের ব্যর্থতা নিশ্চিত করতে রাশিয়ার অর্থনীতির প্রতিটি স্তম্ভ লক্ষ্য করে জি-৭ অংশীদারদের সাথে কাজ করবে।
Leave a Reply