নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের কোঠাবাড়ী ও কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের রায়টা বাজারে যাওয়ার এক মাত্র পথ ৪৭ বছরেও পাকা সেতু নির্মাণ না হওয়ার কারনে এলাকার শত শত মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে। এই বাশের সাঁকো দিয়ে পার হতে গিয়ে অনেকে হাত-পা ভেঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪আগস্ট) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে-বাশের তৈরী সাঁকো এতই ছোট যে একটি মানুষ ভাল ভাবে চলতে পারে না। অনেক দুর থেকে কোন মানুষ বাই সাইকেল নিয়ে আসলে ওই বাশের সাঁকো দিয়ে পার হতে পারে না। এবিষয় নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনে তেমন কোন পাকা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ দেখা যায়নি বলে ওই এলাকার সাধারণ মানুষেরা জানান। এর মধ্যে গত ৪মাস পূর্বে যশোরের ঝুমঝুমপুর এলাকার শেখ সোবহান নামের এক ভ্যান চালক কোঠাবাড়ী-রায়টা এলাকার মানুষের কথা বিবেচনা করে তিনি তার একটি ইঞ্জিন ভ্যান বিক্রয় করে দেন। পরে তিনি ভ্যান বিক্রয়ের টাকা ও তার কাছে জমানো ২লাখ টাকা দিয়ে ওই স্থানে ৩২টি ড্রাম দিয়ে একটি ভাসমান সেতু তৈরি করেন। বর্তমানে ওই সেতু দিয়ে মানুষ ভাল ভাবে চলাচল করছেন। ভ্যান চালক শেখ সোবহান আলী জানান-তিনি যশোর থেকে কলারোয়ায় এসেছেন ৪১বছর আগে। এখানে এসে রায়টা গ্রামের বিয়ে করেন। এর পরে তিনি ২ছেলে ও ২ মেয়ের পিতা হন। আর তখন থেকে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি ৩শতক জমি কিনে সেই জমিতে একটি বসত বাড়ী নির্মাণ করেন। বর্তমানে ২মেয়ে মারুফা ও হালিমা খাতুনকে বিয়ে দিয়েছে। ২ছেলে ইয়াছিন ও ইমরান মালয়েশিয়ায় কাজ করেন। এখন তিনি আর ভ্যান চালান না। কোটাবাড়ী ও রায়টার নদীর মাঝে ভাসমান সেতু নির্মাণ করে সেখানে একটি চায়ের দোকান দিয়েছেন। ওই চায়ের দোকান থেকে প্রতিদিন ৪/৫শ টাকা বেচাকেনা করেন। আর ভাসমান সেতু থেকে ১শ টাকা আয় করেন। এই টাকা দিয়ে তিনি সংসার চালান। শেখ সোবহান আলী বয়স চলে (৫৮) বছর। তিনি এখন আর ভ্যান চালাতে পারেন না। তিনি আরো বলেন-নিজে লেখা পাড়া না জানলেও তার ছেলে ও মেয়েদের স্কুল ও কলেজে পড়িয়েছেন। এদিকে এলাকাবাসী অতিদ্রত কোঠাবাড়ী-রায়টায় নদীতে একটি পাকা সেতু নির্মাণের জন্য সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
Leave a Reply