নলতা শরীফ, কালিগঞ্জ থেকে: বিগত সময়ের আলোকে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলাধীন নলতা শরীফ শাহী জামে মসজিদে ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার বাদ মাগরিব হতে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশের মধ্য দিয়ে আখেরী জামানার নবী, তারেদারে মদিনা, হজরত মুহাম্মদ (স.) ধরার বুকে আবির্ভাবের কারণে মহিমান্বিত রজনীতে পবিত্র ফাতেহা দোয়াজ দহম্ বা মিলাদুন্নবী (স.) উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা, মিলাদ শরীফ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘সষ্টার এবাদত ও সৃষ্টের সেবা’ এ মহান ব্রতকে সামনে রেখে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারক, সুফী-সাধক, পীরে কামেল হজরত শাহ্ছুফী আলহাজ্জ খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) প্রতিষ্ঠিত নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্জ অধ্যাপক ডা: আ ফ ম রুহুল হক এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় পবিত্র কোরআান ও হাদীসের আলোকে বক্তব্য রাখেন- আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বক্তা, ইসলামী চিন্তাবিদ মুফতি মাওলানা মোখলেছুর রহমান বাঙ্গালী (কুষ্টিয়া) ও নলতা শরীফ শাহী জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্জ মাওলানা মো: আবু সাঈদ জিহাদী (রংপুরী)।
নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সহ-সভাপতি আলহাজ্জ মো: সাইদুর রহমান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা রাখেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব আলহাজ্জ ডা: মো: খলিলউল্লাহ (নলতা শরীফ/ঢাকা), ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক আলহাজ্জ ড. কাজী এহছানুর রহমান ও খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ইন্সটিটিউট এর মহাপরিচালক এ এফ এম এনামুল হক (ঢাকা)। পীর কেবলার লিখিত গুজারেশ পাঠ করেন খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ইন্সটিটিউট এর পরিচালক মো: মনিরুল ইসলাম। শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন শানপুকুর জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মো: আব্দুল হাকিম।
হামদ পরিবেশন করেন মো: ফিরোজ আলম (মাঘরী আহ্ছানিয়া মিশন), না’তে রাসুল পরিবেশন করেন মো: কামরুজ্জামান (মাঘুরালী) ও মো: রবিউল ইসলাম। মুর্শিদি পরিবেশন করেন মো: আনিসুর রহমান (নলতা শরীফ)। মিলাদ শরীফ পরিচালনা ও ফাতেহা পাঠ করেন নলতা শরীফ শাহী জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মৌ. মো: খানজাহান আলী। ১২ রবিউল আওয়াল বা অদ্য রাত্রের নামাজ (রোজা) সম্পর্কে আলোচনা রাখেন নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের কার্যনির্বাহী সদস্য আলহাজ্জ আবুল ফজল।অনুষ্ঠানে তাওয়াল্লাদ শরীফ পেশ করেন নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশন হাফেজী মাদ্রসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ মো: হাবিবুর রহমান। কেয়াম পরিবেশন করেন নলতা চৌমহনী বায়তুল আমান জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মো: শাহীন আলম। শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এঁর জীবনী নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর মুসলিম উম্মার সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে শেষে দোয়া পরিচালনা করেন আলহাজ্জ মাওলানা মো: আবু সাঈদ জিহাদী।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন নলতা পাক রওজা শরীফের খাদেম আলহাজ্জ মৌ. আব্দুর রাজ্জাক, নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ডা: নজরুল ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক আলহাজ্জ চৌধুরী আমজাদ হোসেন, সহ-সম্পাদক আলহাজ্জ মো: মালেকুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ মো: আনোয়ারুল হক সহ মিশনের নির্বাহী কমিটির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ মো: মুজিবর রহমান, মিশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ মো: এনামুল হক, তারালী ইউপি চেয়ারম্যান মো: এনামুল হোসেন ছোট, কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশন ও শাখা আহ্ছানিয়া মিশনের বর্তমান ও প্রাক্তন বিভিন্ন কর্মকর্তা, সদস্য, মুফতি হাফেজ মাওলানা আশিকুর রহমান তথা নানা শ্রেণি-পেশার প্রায় ১৫ হাজার ব্যক্তি।
পবিত্র ফাতেহা দোয়াজ দহম বা ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উদযাপন উপলক্ষে মিলাদ-মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠান শেষে স্ব স্ব অবস্থানে অবস্থানরত হাজার হাজার মুসল্লী তথা পুরুষ, মহিলা ও শিশুর মাঝে নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের পক্ষ থেকে রান্না তাবারুক পরিবেশন করা হয়।
এদিকে নলতার উত্তর মাঘুরালী জামে মসজিদ কমিটির আয়োজনে মসজিদে ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব হতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে আলোচনা, মিলাদ শরীফ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: হাবিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে এবং সহ-সভাপতি আলহাজ্জ মো: আরশাদ আলী’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন ও হাদীসের আলোকে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মো: সাইফুল্লাহ মনসুর (সাতক্ষীরা) ও উত্তর মাঘুরালী জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো: ফারুক হোসেন। শেষে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মো:সাইফুল্লাহ মনসুর।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কমিটির কর্মকর্তা প্রভাষক মো: মনিরুজ্জামান (মহসিন), আলহাজ্জ মো: হারুন অর রশিদ, আলহাজ্জ মুজিবর রহমান, মো: আমজাদ হোসেন বিশ্বাস, আফতাব উদ্দিন সরদার, আব্দুল ওহাব সরদার, আলহাজ্জ রেজাউল করিম, মো: নজরুল ইসলাম সরদার,আলহাজ্জ অহেদ আলী বিশ্বাস, রিপন সরদার, আমির হোসেন বিশ্বাস, সাদ্দাম সরদার প্রমূখ। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত প্রায় ১ হাজার মুসল্লীর মাঝে রানা তাবারুক পরিবেশন করা হয়।
Leave a Reply