নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সরকারি বন্দোবস্তী নেওয়া সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা কারি ১১ জন ভূমি দস্যু ও সন্ত্রাসীদের আসামি করে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আমলি আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলার বর্ণনা এবং সরজমিনে ঘটনা স্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের চিলের খাল এস এ ২৯২৪ দাগে ৩ একর সম্পত্তির মধ্যে ১ একর সম্পত্তি চুনকুড়ি গ্রামের মৃত মঙ্গল মোল্লার ছেলে আব্দুল খালেক মোল্লা চল্লিশ বছর আগে বন্দোবস্ত নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ করে আসছে । উক্ত জমিতে মাছ চাষ করে তার সংসারের জীবিকা নির্বাহ হয়। হঠাৎ ভূমি দস্যু সন্ত্রাসী জলিল ও জিয়া মেম্বরের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে গরীব অসহায় আঃ খালেকের এই জমিটির উপর। এই সন্ত্রাসীরা তাদের বাহিনী নিয়ে নানা রকম ফন্দি আটতে থাকে জমিটি নিজেদের কব্জায় নেওয়া জন্য। গত ২১ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এলাকার চিহ্নিত ভূমি দস্যু জলিল ও জিয়া তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে খালেকের বন্দোবস্ত নেওয়া মাছের ঘেরের ভেড়ি কেটে দিয়ে মাছ গুলো ধরে নেয়। এ সময় আঃ খালেকের ঘেরে প্রায় তিন লাখ টাকা মাছ ছিল। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে আঃ খালেক লোক মুখে জানতে পারে যে জলিল ও জিয়া মেম্বরের নেতৃত্বে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী তার ঘেরের ভেড়ি কেটে দিয়ে মাছ ধরে নিচ্ছে । তখন তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ভূমি দস্যু সন্ত্রাসী বাহিনীদের বাধা প্রদান করলে ভূমি দস্যুরা তাকে বেধড়ক মারধর করে এবং তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে, হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করে এই আঘাতে আঃ খালেকের মাথায় হাড় কাটা জখম হয়। তার মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য তারা নেট দিয়ে খালেকের গলা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার চেষ্টা করে। তার পিতা কে বাঁচাতে দুই ছেলে ছুটে এলে তাদেরকে ও হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড ও শাপল দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তারা নিজেদের আত্মরক্ষা করে জীবনে বেঁচে গেলে ও মারাত্মক আহত হয় । খালেকের এই ছেলে এক ছেলে হাত দিয়ে মাথার আঘাত ঠেকাতে গেলে তার হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে যায়। এই ভূমি দস্যু সন্ত্রাসরা তাদের শুধু মেরেই ক্ষান্ত হয়নি তাদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাত পা বেঁধে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আবার ও বাঁশের লাঠি, লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে তাদের সারা শরীর ফোলা রক্তাক্ত জখম করে দেয়। তাদের মারের দৃশ্য কয়েক জন সাংবাদিক ফোনে ভিডিও ধারণ করলে স্থানীয় চেয়ারম্যান তাদের নিকট থেকে ফোন কেড়ে নিয়ে সব ভিডিও ডিলিট করে দেয় । মামলার বাদী মাছুমা তার পিতা আব্দুল। খালেক মোল্লা কে একটু পানি খাওয়াতে গেলে তার গায়ে ও হাত তোলে এই সন্ত্রাসী বাহিনী। পরে শ্যামনগর থানার পুলিশ এসে আঃ খালেক ও তার বড় ছেলেকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে আঃ খালেকের মেয়ে বাদী হয়ে ভূমি দস্যু সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার উদ্দেশ্যে থানায় এজাহার দিলে ও এজাহার টি মামলা হিসেবে গণ্য করা হয় নি। অথচ ভূমি দস্যু সন্ত্রাসী বাহিনীর করা সাজানো, মন গড়া মিথ্যা এজাহার টি আমলে নিয়ে কোন তদন্ত ছাড়াই মামলা টি রেকর্ড করা হয়। সেই মিথ্যা মামলার আসামি হয়ে আঃ খালেক মোল্লা ও তার বড় ছেলে এখনো জেল হাজতে আছে। এবিষয়ে এ ইউপি সদস্য জলিল ও জিয়ার কাছে জানতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ গুলো অশিকার করে বলেন, এলাকার মানুষ এখন ধান চাষ করতে চায় আর ধান চাষ করতে গেলে মিষ্টি পানির প্রয়োজন এ জন্য আমরা খালটি কাটানোর জন্য উদ্যোগ নিয়েছে।
এবিষয়ে চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় ঐ খাল টি কাটার কাজ চলছিল কিন্তু আঃ খালেক এই খাল তার নিজের সম্পত্তি খাল কাটতে দেবে না বলে বাঁধা প্রদান করে । আমি বিষয়টা জানতে পেরে আমার পরিষদের দুই জন মেম্বার ও জন গ্রাম পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে দেই। তাদের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে খালেকের লোক জন দুই মেম্বার সহ তিন জনকে বেধড়ক মারপিট করে ।
Leave a Reply