নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন অত্র ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়ন করার জন্য সার্বিক ভাবে উন্নয়ন মূলক কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি নির্বাচনের পূর্বের ইউনিয়নবাসীদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন সেটা ব্যস্তবায়নে রুপ নিতে শুরু করেছে। তিনি চেয়েছিলেন অত্র ইঊনিয়নবাসীর ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত, কর্মসংস্তান । স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ,মন্দির ও রাস্তা, কলভার্ট, ব্রিজ, নির্মণসহ পিছিয়ে পড়া জনগনের দুরদসা মুক্তি জন্য নিরালাস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জনপ্রিয়তার র্শীষে অবস্থান করায় আমাকে সেই অবস্থান থেকে বাহির করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে একটি মহল। সাংবাদিকদের সাথে মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন একথা বলেন।
সরেজমিনে দেখা যায় ৯ নং মথুরেশপুর ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ব্যাপক ঊন্নয়ন হয়েছে তার মধ্যে ছোট বড় রাস্তা পিচ ঢালাই ও ইটের সোলিং প্রায় ৫০ কিঃ মিঃ রাস্তা। ১নং ওয়ার্ডে বসন্তপুর গ্রামের পোর্ট প্রাইমারী স্কুলের সামনে হতে মুনজুর গাজীর বাড়ী পর্যন্ত নতুন ইটের রাস্তা।
১নং ওয়ার্ডে বসন্তপুর ওবদা হইতে ক্যাম্প পযর্ন্ত ১ কিঃ মিঃ রাস্তা কারপিটিং। বসন্তপুর গ্রামের ১ কিঃ মিঃ রাস্তা কারপিটিং, ২নং ওয়ার্ডে আশ্রায় কেন্দ্র হইতে চাকদা মন্দির অভিমুখ পযর্ন্ত হাফ কিঃ মিঃ রাস্তা কারপিটিং, হাড়দ্দহা ১ কিঃ মিঃ রাস্তা কারপিটিং,নাজিমগঞ্জ বাজার রাস্তা কারপিটিং, ৫নং ওয়াডের মনোরঞ্জন ঘোষের বাড়ী হতে নিলকমল ঘোষের বাড়ী অভিমুখে ইটেরসোলিং , বজলু সরদারের বাড়ীর মুখ থেকে কোমলের বাড়ী অভিমুখে নতুন ইটেরসোলিং, ৭ নং ওয়ার্ডে উজয়মারী জয়দেবের বাড়ীর মুখ হইতে উজয়মারী প্রাইমারী স্কুল পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার, ৮নং ওয়ার্ডে নিজদেবপুর জসিমউদ্দীন এর মুখ হতে মুজিবর ঢালীর বাড়ি অভিমুখে রাস্তা , মন্দির সংস্কারসহ অসংখ্য উন্নয়ন মূলক কাজ হয়েছে।
আমি ক্ষমতায় আসার পর থকে কেউ বলতে পারবে না কারো কাছ থেকে আমি একটা পয়সাও নিছি। কে চেয়ারম্যানের দল করে সেটা আমার দেখার বিষয় না ৯নং মথুরেশপুর ইউনিয়নের মানুষ সবাই আমার কাছে সমান এবং সবাই আমার জনগন। এছাড়া আমি আমার ইউপি সদস্য/সদস্যাদের বলেছি আমি / আমরা স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছি।
মথুরেশপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ করিম গাজী সাংবাদিকদের বলেন আমার কাজে কোন প্রকার ত্রুটি নাই। দুধে মায়লা থাকতে পারে কিন্তু আমার ওয়ার্ডে যে কাজ গুলো করা হয়েছে তাতে কোন রকম মায়লা নাই। করিম গাজী আরোও বলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হিংস্তক ভাবে কুৎসা রটাছে, মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে। আমাদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন এক জন সৎ ও দায়িত্বশীল ব্যক্তি, তিনি অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে সবর্দায় প্রতিবাদী।
কথা হয় মথুরেশপুর ইউনিয়নের আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোঃ আলাউদ্দীন এই প্রতিবেদক কে বলেন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন এক জন সৎ চরিত্রবান ব্যক্তি, তিনি ইউনিয়নে গরীবের চেয়ারম্যান ও বন্ধু বলে ছোট বড় সকলের কাছে পরিচিত।
৬নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন ৫ বছরে আমার ওয়ার্ডে যে পরিমান ঊন্নয়ন মূলক কাজ হযেছে বিগত দিনে এত ঊন্নয়ন মূলক কাজ কখন হয়নি এটা একটি দৃষ্টান্ত।
মুকুন্দপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর মাজেদ বলেন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন অত্র ইঊনিয়নের একজন সৎ নির্ভীক ও সামাজিক ব্যক্তি তার নামে মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে।
খাজাবাড়িয়া গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমান চেয়ারম্যান সম্পর্কে বলেন তিনি গরীবের চেয়ারম্যান ও সাধারণ গ্রামবাসীর সুযোগ সুবিধা সব সময়ে পাশে পায়। শুধু তাই না ইঊনিয়নের কোন নাগরিকের যদি রাত ১২ টার সময় কোন ক্ষেত্রে প্রয়োজনে হয় তাৎক্ষনিক তিনি তার ডাকে সাড়া দেন ।
আব্দুল্লাহ গাইন সহ একাধিক ব্যক্তি ৯ নং মথুরেশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন সম্পর্কে বলেন ইঊনিয়নের সকল নাগরিকের পাশ্বে সার্বক্ষনিক থাকেন এবং এলাকার কারও কোন রকম সমস্যায় পড়ে তিনি সেটা দ্রুত সমাধান করে দেন। চেয়ারম্যান দায়িত্বরত থাকারত অবস্থায় যে কোন ধরনের সমস্যা শালিস বৈঠক এর মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করেন। কোন প্রকার কেস থানায় পাঠায় না,সেটা নিজেদের মধ্যে বসে সমস্যা সমাধান করেন।
৯নং মথুরেশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় কয়েকটি সাধারন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আমি করোনাকালীন সময় আমার ইউনিয়নের প্রায় ৪৮ হাজার মানুষের পাশে থাকার একান্ত প্রচেষ্টা চালিয়েছি। অনুসন্ধানে জানা যায়,তিনি তার এলাকার ২৭ হাজার ভোটারসহ ৪৮হাজার মানুষেরপাশে দাড়িয়ে সর্বাত্মক সাহায্য ও সহযোগিতা করার জন্য আলাদা আলাদা পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের জানালেন, সরকারীভাবে আমি ভি জি এফ কার্ড পেয়েছি ৬১২৫ টি এবং ভি জি ডি র্কাড পেয়েছি ৩৪৭টি ও রেশন কার্ড ২০০৪ টি। এগুলো আমি হতদরদ্রিদরে মাঝে বিতরন করছি। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম এর সম্পর্কে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন বলেন ইঊনিয়ন নির্বাচনে হেরে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করে। তিনি আরোও বলেন আমি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাকে সম্নান করি কিন্তু তার কার্যকলাপ মোটেও ভালো না, এই ইঊনিয়নে হাকিমের কোন প্রকার অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপকর্মের কাজ করতে দেবো না। তিনি আরোও বলেন কাজী আলাঊদ্দীন এমপি থাকা কালীন তার পি এ ছিলেন আব্দুল হাকিম কালিগঞ্জ এলাকাবাসীর সেটা জানা।
আব্দুল হাকিমের অত্যাচারে অনেক মানুষ ভারতে যেতে বাধ্য হন। চেয়ারম্যান মিজান বলেন শুধু তাই নই ৫০০ টাকা বিনিময়ে যে খানায় কেও নামে না সাবেক চেয়ারম্যান মাহাবুব রহমান তার সেই খানায় আব্দুল হাকিম রাতের অন্ধকারে হাবুডুবু খেয়েছিলেন অপকর্ম করে যাহা এলাকার ছোট বড় সকলেই জানে। বিগত ৪০ বছরে যে কাজ হয়নি তা আমি ৫ বছরে দ্বিগুন করেছি। চেয়ারম্যান মিজান বলেন আমি আওয়ামীলীগের একজন সৈনিক হিসেবে ২০০০ সাল থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করে জনগনের আস্তা অর্জন করে জনগন আমাকে জয়যুক্ত করেন।
এলাকাবাসীর ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন কোন অপরাধ করিনি তার সত্তে¡ও কিছু কুচক্র মহল আগামী ইঊনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে চেয়ারম্যানের নামে মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে? এবিষয়ে এলাকাবাসী প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply