বিশেষ প্রতিনিধি: উপজেলার তুলশীডাঙ্গা গ্রামের মৃত কাজী আশরাফুজ্জামানের ছেলে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী তরিকুল ইসলাম কলারোয়া থানার সামনে “দাউদ মটর ” নামে একটি মোটর সাইকেলের শোরুম খুলে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের নামে কলারোয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা কাজী আসাদুজ্জামান শাহাজাদা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন ৯০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে কলারোয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজাদার (৪৫) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন তরিকুল। গত ১০ মে কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের দাউদ আলী গাজীর পুত্র তরিকুল ইসলাম (৩২)বাদী হয়ে আমলী ৪নং আদালত (কলারোয়া) সাতক্ষীরায় এ মামলাটি দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডি সাতক্ষীরাকে তদস্ত পূর্বক রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কলারোয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও কলারোয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের ২০২০ সালে কাজী শাহাজাদা বাদীর দোকান থেকে একটি হোন্ডা এব্রেড (মূল্য ১লক্ষ ৬০ হাজার) মটর সাইকেল নিয়ে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন। বাদী বাকি টাকা পরে দেয়ার অঙ্গিকার করলেও টাকা না দিয়ে তাল বাহানা করতে থাকেন। এছাড়া ১০ মার্চ ২৩ তারিখে যুবলীগ নেতা ফেরদাউদ মোটরস্ এর শোরুম থেকে আরো একটি হোন্ডা এব্রেড (মূল্য ১লক্ষ ৬০ হাজার) মটর সাইকেল বাকিতে নিয়ে যায়। পরে টাকা চাইতে গেলে বিবাদী বাদীকে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। এসময় বাদীর নিকট উল্টো ৩ লক্ষ টাকা পাবে এমন কথা বলে তাকে শাসাতে থাকে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে কাজী শাহাজাদা বাদীকে ফাঁদে ফেলার জন্য পায়তারা শুরু করে। এক পর্যায়ে গত ২৮ এপ্রিল মীমাংসার কথা বলে বাদী তরিকুল ইসলামকে তার ডেরায় কৌশলে ডেকে নিয়ে মারপিট করে একাধিক সাদা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। ঘটনার সময় জোর পূর্বক দুটি সাদা ব্যাংক চেকে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় যুবলীগ নেতা শাহাজাদা। বিষয়টি বাদী স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ তার স্বজনদের জানালে ভাইস চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৭মে তার ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে তরিকুলের বাড়িতে গিয়ে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে জীবন নাশের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করতে থাকে। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শাহাজাদা ও তার বাহিনীর হাত থেকে বাদীকে তাকে উদ্ধার করে। এঘটনায় উপায়স্তর হয়ে ভুক্তভোগী তরিকুল ইসলাম আমলী ৪নং আদালত, (কলারোয়া) সাতক্ষীরায় এ মামলা দায়ের করেছেন।বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদস্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সাতক্ষীরা সিআইডিকে নির্দেশ প্রদান করেছেন। এবিষয়ে কলারোয়া উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান কাজী আসাদুজ্জামান শাহজাদা বলেন, তরিকুল তার ব্যবসায়িক পার্টনার। মামলার বাদী তরিকুলের কাছে তিনি টাকা পাবেন। প্রমান স্বরুপ স্ট্যাম্প ও ব্যাংক চেক আছে। উল্লেখ্য; জমি দখল, চাঁদাবাজি ও অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ সাতক্ষীরা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আসাদুজ্জামান শাহাজাদা গত ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি রাতে কলারোয়া থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। সেই সময় শাহাজাদার বিরুদ্ধে দু’টি সিআর ও একটি জিআর মামলায় আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। গ্রেফতারি পরোয়ানায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। কলারোয়া থানার সাবেক ওসি শেখ মুনীর উল গিয়াস বলেন, তিনি কলারোয়া থানায় থাকাকালে যুবলীগ নেতা ও কলারোয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজাদার বিরুদ্ধে একাধিক ওয়ারেন্ট ছাড়াও জমি দখল, চাঁদাবাজি ও অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের একাধিক অভিযোগ ছিল। গ্রেপ্তারকালে সে সময় শাহাজাদার বাড়ি থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১৪টি কাগজপত্রবিহীন মোটরস- ইকেল, কিছু ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প এ বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই উদ্ধার করা হয়।
Leave a Reply