ন্যাশনাল ডেস্ক: ইসলামি দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি চাইছে যেসব এলাকায় যেসব ইসলামি সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান ভালো, সেসব এলাকায় ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে আসা। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে কয়েকটি ইসলামি দলের নেতাদের সঙ্গে জামায়াতের আমিরের বৈঠক হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে জামায়াতের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠক করে খেলাফত মজলিস।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও মাওলানা আবদুল হালিম।
খেলাফত মজলিসের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ, মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাশেমী, যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল জলিল এবং প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম। বৈঠকে অংশ নেওয়া এক নেতা জানান, মূলত বৈঠকে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বন্যা পরিস্থিতি ও ইসলামি দলগুলোকে সংঘবদ্ধ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মুনতাসির আলী বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে বৈঠকে চলমান রাজনৈতিক অবস্থা, অন্তর্বতীকালীন সরকার, হঠাৎ করে তৈরি বন্যা ও ইসলামী দলগুলোর ঐক্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ জামায়াতের সঙ্গে কোনও জোটে যাচ্ছে কিনা খেলাফত মজলিস, এমন প্রশ্নের জবাবে মুনতাসির আলী বলেন, ‘জোটের বিষয়ে কোনও আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি।’ শুক্রবার বিকালে জামায়াতের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মতবিনিময়ে দেশের পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ ও সমবেদনা প্রকাশ করা হয়। জাতীয় ঐক্য এবং ইসলামি দল ও সংগঠনগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সংহতি নিয়ে আলোচনা হয়। অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে সহযোগিতার মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে গুরুত্বারোপ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, ‘মুসলমানদের বিপদের কারণ অনৈক্য। ইসলাম কায়েমের জন্য ছোটখাটো মতভেদ ভুলে ভ্রাতৃত্ব, ভালোবাসা, সম্মান ও শ্রদ্ধার মাধ্যমে আমাদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। কাবা এক, রাসূল এক, কুরআন এক; মৌলিক বিষয়গুলোতে সব ইসলামী দল ও সংগঠনের মধ্যে ঐকমত্য তৈরি করে এগিয়ে যেতে হবে।’
Leave a Reply