মোঃ ফরিদ উদ্দিন শ্যামনগর প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলায় ইট বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে ঠিকাদার এবং সাধারন মানুষ পড়েছে বিপাকে শ্যামনগর উপজেলার ইটভাটা মালিক সমিতি ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট তৈরি করে ঠুকনো অজুহাত দেখিয়ে চড়া দামে বিক্রি করছে ইট। প্রসঙ্গ চলতি বছরের শুরুতে বৈরী আবহাওয়ার কারণে এক বৃষ্টিতে ইটভাটাগুলোতে কাচা ইট বিনষ্ট হয় অসময়ে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে ইটভাটা গুলিতে লক্ষ্য লক্ষ্য কাঁচা ইট ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
এই সুযোগে ইটভাটার মালিকরা তাদের লোকসান পুষিয়ে নিতে পূর্বের দামের চেয়ে গাড়ি প্রতি দুই হাজার টাকা করে বাড়িয়ে দিয়েছে ইটের মূল্য। এখন এক নম্বর ইট গাড়ি প্রতি নেওয়া হচ্ছে ৯ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দুই নম্বর ইট ৬ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৭ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ইটের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ঠিকাদারদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ ইটের মূল্য নির্ধারণের সরকারি কোনো পদক্ষেপ বা মূল্য নির্ধারণ না থাকায় ইচ্ছামত বিক্রি করছে ভাটা মালিকরা সামান্য অজুহাতে এমন কাজ করছে তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার বলেন ব্যবসায় লাভ লোকসান হবেই ভাটা মালিকরা লাভ করবে আর ঠিকাদাররা লোকসানে থাকবে এটা ঠিক নয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে বর্তমানে রডের দাম সব চাইতে বেশি দেশের ইতিহাসে ৯০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে ১ টন রড নির্মাণ সামগ্রীর দাম এর আগে কোন সময় এত দেখা যায়নি। জানা গেছে শ্যামনগর উপজেলায় ১০ টি ইটভাটা রয়েছে এই ইটভাটাগুলোতে পুরোদমে নতুন ইট উৎপাদনের কাজ চলছে। সকল ইটভাটায় ইটের দাম বৃদ্ধি করে অবাধে বিক্রি করছে।
ঠিকাদার সমিতির সভাপতি বলেন সরকার যদি ইটের দাম নির্ধারণ করে দিতেন তাহলে সাধারণ মানুষ এবং ঠিকাদার সমিতি সঠিক দামে ইট ক্রয় করতে পারত।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব আক্তার হোসেন বলেন ইটের দাম নির্ধারণ করা নাই আমরা নিজেরাই তো ভুক্তভোগী এ বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
Leave a Reply