নিজস্ব প্রতিনিধি:
চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজলায় ৯ ইউনিয়নে ৫৮ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছে। সরকার দলীয় ৯জনসহ এসব ইউনিয়নে বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী শাষনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র এবং দলীয়ভাবে অংশ নিচ্ছে। তবে ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টিতে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে ৭জন বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছে। উলেখ্য শ্যামনগর উপজেলার ৯ ইউনিয়নে আগামী ২৬ ডিসেম্বর ভোট অনুষ্ঠিত হবে। শ্যামনগর সদরসহ উপক‚লবর্তী এ উপজেলার বাকি ৩ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জানুয়ারি। উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা গেছে শ্যামনগরের কাশিমাড়ী ইউনিয়নে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছে ৮জন। কাশিমাড়ীতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন অংশ নিচ্ছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শমসের আলী ঢালী। এছাড়া বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ ঢালী স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনের অংশ নেওয়ার পাশাপাশি কাশিমাড়ীতে আরও প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছে জামাত সমর্থিত স্বতন্ত্র টিএম নুরুল হক, একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পুর্বে আওয়ামীলীগে যোগদানকারী বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রবিউল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল জব্বার পিয়াদা, স্বতন্ত্র প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পরিতোষ হালদার। তবে উপজেলার গুরুত্বপ‚র্ণ এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়া সাবেক চেয়ারম্যান গাজী আনিছুজ্জামান আনিচ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক তরুন এ নেতা প‚র্বের নির্বাচনে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে তিনি প্রবল প্রতিদ্ব›দ্বী হিসেবে সামনে আসতে পারেন বলে স্থানীয় ভোটারদের অভিমত। এছাড়া উপজেলার আটুলিয়া ও নুরনগর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে একই দলের আব্দুস সাত্তার মেম্বর ও মিরালী মোল্যা নামের দুই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এ দ্ইু ইউনিয়নে যথাক্রমে মোট প্রার্থী হয়েছেন মোট ১৪ জন। নুরনগরে বিএনপি নেতা গোলাম আলমগীর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুই নেতা মিরালী মোল্যা ও গোলাম মোস্তফা চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এছাড়া কৈখালী ইউনিয়নে ৮ জন প্রার্থী নিবাচনে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করলেও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য শাহাজান সিরাজ নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। তবে বুড়িগোয়ালীনি, মুন্সিগঞ্জ, গাবুরা ইউনিয়গুলোতে যথাক্রমে ৪, ৬ ও ৫ জন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এসব ইউনিয়নে আওয়ামলীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোন বিদ্রোহী নেই। যদিও উপজেলার ৬ নং রমজাননগরে মোট ৫ প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ইউনিয়নে আওয়ামীগের মনোনীত শাহানুর আলমের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ আল মামুন। এছাড়া উপজেলার ১১ নং পদ্মপুকুর ইউনিয়নে মোট ৮জন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছে বলে জানা গেছে। এখানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে দলীয় মনোননয়ন বঞ্চিত ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি এসএম নুরুজ্জামান বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন।
Leave a Reply