নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর বাজারের দোকান ঘর নিয়ে সৃষ্ট বিরোধকে কেন্দ্র করে আপন দু’ভাইয়ের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০জন জখম হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, উমরাপাড়া গ্রামের মৃত সৈয়দ আলী সরদারের বড়পুত্র নোবাত আলী সরদারের সাথে তার আপন সহোদর ছোট ভাই নজরুল ইসলামের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে ভাগাভাগি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে আদালতেও উভয় পক্ষের মধ্যে মামলা চলমান রয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ব্রহ্মরাজপুর বাজারের একটি দোকানঘর দখল করাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে নোবাত আলীর পক্ষের ৬জন গুরুতর আহত হয় এবং অপরদিকে নজরুল ইসলামের পক্ষের ৪জন মারাত্মক জখম অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা হলো মৃত সৈয়দ আলীর বড়পুত্র নোবাত আলী ও তার ৩ পুত্র সেলিম হোসেন, শিমুল হোসেন ও শামীম হোসেন এবং স্ত্রী রিজিয়া বেগম, দোকান ঘরের ভাড়াটিয়া নুনগোলা গ্রামের মইজুদ্দীনের পুত্র রবিউল ইসলাম। অপরদিকে, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে মারাত্মক জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন আহতরা হলো মৃত সৈয়দ আলীর ছোট পুত্র নজরুল ইসলাম ও তার ভাতিজা মৃত শামছুর রহমানের পুত্র সালাউদ্দিন ও আলাউদ্দিন এবং জামাতা দামারপোতা গ্রামের অফিলউদ্দিনের পুত্র আহাদ আলী। তাদের প্রত্যেকের মাথায় মারাত্মক জখম রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে ব্রহ্মরাজপুর বাজার কমিটির সদস্য রবিউল ইসলামের চায়ের দোকানে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় ১২-১৩জন আহত হয়। এরমধ্য ১০জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং বাকীরা সামান্য জখম হয়েছে। চায়ের দোকানে মারামারির সময় কেটলির গরম পানিতে ১জন ঝলসে যায়। তবে অভিযোগ উঠেছে এসিড নিক্ষেপের। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে ক্যামিক্যাল জাতীয় দাহ্য পদার্থের কথা উল্লেখ করা হয়েছে বলে দায়িত্বরত চিকিৎসক এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ সাতক্ষীরা সদর থানায় পাল্টা-পাল্টি এজাহার দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শামিনুল হক জানান-উভয় পক্ষের এজাহার পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply