জি এম মামুন বিশেষ প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর কদমতলা (মায়ের বাড়ি) এলাকার খোসালখালি খাল থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে । গত ৫ দিন যাবত প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন করা হলেও প্রশাসন নিচ্ছেনা কোনো ব্যবস্থা। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে হুমকিতে পড়েছে খোসালখালি খালের পাড়ে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের নব নির্মিত ঘর। খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন সঙ্গে জড়িত রয়েছে শক্তিশালী একটি চক্র। এ কারণে স্থানীয়রা প্রকাশ্যে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না।
স্থানীয়রা জানান, পূর্ব কদমতলার জনৈক আমজাদ আলী গাজীর বাড়ির সামনে থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তার কাজ চলছে। ওই কাজের ঠিকাদার রফিকুল ইসলাম প্রভাব খাটিয়ে গত ৫ দিন যাবত খোসালখালি খাল থেকে বালি উত্তোলন করে রাস্তার ভরাট কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। অবৈধ ও অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের ফলে খালের পাড়ে অবস্থিত উত্তর কদমতলা আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে বসবাসরত ১৫ টি পরিবার হুমকির মুখে পড়েছে। অবৈধভাবে খাল থেকে বালু উত্তোলনের ফলে বর্ষায় ভাঙন দেখা দিতে পারে এমন আশংকা করছে স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করা হলেও অজ্ঞাত কারণে নেওয়া হচ্ছে না কোনো আইনি ব্যবস্থা।
বিষয়টি জানার জন্য কালিগঞ্জ বসন্তপুরের ঠিকাদার রফিকুল ইসলামের কাছে মুঠো ফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে বিষয়টি শ্যামনগরের মামুনের সাথে কথা বলতে বলেন। অপর আরেকটি প্রশ্নে রফিকুল ইসলাম বলেন আমার কাছ থেকে বক্তব্য নিতে হলে আগামীকাল দিব।
এবিষয়ে সাব- ঠিকাদার আব্দুল গফুর সব কিছু ম্যানেজ করে রাস্তার কাজে খাল থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে স্বীকার করেন।
খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেটের প্রধান সোহরাব হোসেন জানান,খাল থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন অবগত করেছে শ্যামনগর সদরের বাসিন্দা জনৈক মামুন। খালে বালু উত্তোলনের সরঞ্জাম সব কিছু তার। তবে প্রশাসন থেকে আরম্ভ করে সব মহল ম্যানেজ করছে মামুন এমনই জানান তিনি।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আক্তার হোসেন বলেন,’আমি এ বিষয়ে অবগত নই। খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি।
Leave a Reply