শেখ আলী মোর্তজা শ্যামনগর: সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার এটি একটি বানিজ্যিক কেন্দ্র। বানিজ্যিক কেন্দ্র হিসাবে অতি পরিচিত হলেও নেই অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধারা। সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত শ্যামনগরের গোপালপুর এলাকাবাসী। বিভিন্ন পত্রিকায় বার বার সংবাদ প্রকাশ করার পরেও আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন বাজারের ব্যাবসায়ীরা। শ্যামনগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সড়কের বেহাল অবস্থা একটু খানি বৃষ্টি হলে জনজীবন চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতি দিন মুক্তিযোদ্ধা সড়ক দিয়ে শ্যামনগর উপজেলার উচ্চ মহলের কর্মকর্তা চলাচল করে, মুক্তিযুদ্ধ সড়কের দুইপাশে শ্যামনগর উপজেলা অফিসগুলো অন্য পাশে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ পশু হাসপাতাল ও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল অবস্থিত। মুক্তিযোদ্ধা সড়কের একবারে মাথায় অবস্থিত শ্যামনগর এর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ফলক ও শহীদের মাজার এবং শ্যামনগর উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র গোপালপুর ইকো ট্যুরিজম পার্ক। জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি কোনো রাস্তা নাকি ডোবা-পুকুর। দীর্ঘ দিন রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে পিচ ঢালাই উঠে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্ত হয়ে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ সড়কে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে সড়ক জুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে ছোট বড় অসংখ্য খানাখন্দ। হেলেদুলে দুমড়ে মুচড়ে চলাচল করছে ভ্যান, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক। এতে কখনো ঘটছে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। পথচারীসহ যানবাহনের যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনা। হরহামেশাই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনাও। শ্যামনগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সড়কটি দিনের পর দিন অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং জনসাধারণের চলাচলের দুর্বিষায় হয়ে পড়েছে এই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সড়কের পাশে অবস্থিত শ্যামনগরের একমাত্র কিন্ডার গার্ডেন স্কুল।
মেম্বার শেখ সিরাজুল ইসলাম, সাংবাদিক আমজাদ হোসেন মিঠু ও কয়েকজন ব্যাবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে শ্যামনগর বাজারের ব্যবসায়ীরা পড়েছে সংকটে, বছর কি বছর ধরে এমন অবস্থায় তারা ব্যাবসা করছেন কোন রকম। এত প্রতিকুলতা পেরিয়ে মালামাল আনা নেওয়া অসম্ভব হয়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন বড় বড় শহরের পাইকারী ব্যাবসায়ীরা আসছে না এই বানিজ্যিক নগরীতে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি মধ্যে আরো বেশি দাম ধরলে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। মাল আনা নেওয়া না করতে পারলে ব্যাবসা করবে কি ভাবে। ব্যাবসা বন্ধের উপক্রম দেখা দিয়েছে এই মোকারমে ব্যাবসায়ীদের। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এ সকল রাস্তায় যাতায়াতকারী হাজার হাজার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ জানান।
সরকারি দলের একাধিক নেতাকর্মীরা বলেন শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ পশু হাসপাতাল ও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল চরম ভোগান্তিতে আছে। রাস্তা পানিতে তলিয়ে বানিজ্যিক নগর, চিকিৎসা সেবা নিতে আসা মানুষ চরম বিপাকে এমন প্রশ্নের জবাবে তারা দায়সারা বক্তব্য দিয়ে অভিযোগ করেন ব্যাবসায়ীরা। পর্যায়ক্রমে রাস্তার কাজ করা হবে বলে কর্মকর্তারা আমাদেরকে আশ্বস্থ করেছেন।
শ্যামনগর উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা জানান, শ্যামনগর বাজারের রাস্তাগুলো অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। অনুমোদন পেলে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ শুরু হবে।
Leave a Reply