নিজস্ব প্রতিনিধি: তিন একরের দুটি বালু মহাল ইজারা নিয়ে দুটি নদ-নদী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইজারা গ্রহীতা আব্দুর রহমান। এরফলে সুন্দরবন উপকূলের গাবুরাসহ পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নগুলোর নদী ভাঙন সৃষ্টির উপক্রম হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম শফিউল আযম লেনিন। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক বরাবর উক্ত আবেদন করা হয়। জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদনে জিএম শফিউল আযম লেনিন উল্লেখ করেছেন, গত ১৪ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা বালুমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক শ্যামনগর উপজেলার দুটি বালু মহল বাংলা ১৪৩০ সনের ৩০ চৈত্র পর্যন্ত সময়ের জন্য ইজারা প্রদান করা হয়। শ্যামনগরের নকিপুর গ্রামের মৃত বেলায়েত হোসেনের ছেলে মো. আব্দুর রহমান উক্ত বালু মহাল দুটি ইজারা নেন। এর একটি ঝাপা বালুমহল (খোলপেটুয়া নদীর ডুবোচর) ২ একর এবং অপরটি গাবুরা জেলিয়াখালী বালুমহাল (কপোতক্ষ নদের ডুবোচর) ১ একর। আবেদনে আরো বলা হয়, বালুমহল দুইটির চৌহদ্দি কাগজে কলমে নির্ধারিত থাকলেও অজ্ঞাত কারনে বাস্তবে চৌহদ্দি নির্ধারণ করে এলাকা চিহ্নিত করা হয় নাই।
আবেদনে লেনিন আরো উল্লেখ করেছেন সংশ্লিষ্ট ইজার গ্রহীতা নিয়ম বর্হিভূতভাবে বর্ণিত বালুমহাল দুটির ইজারা প্রদত্ত স্থানের বাইরে কয়েক শত একর পরিমান বালুচর থেকে প্রতিদিন কয়েকটি ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ ঘনফুট বালু উত্তোলন করছে। তিনি আরো জানান, এর মাধ্যমে প্রতি ঘনফুট বালু ২টাকা মূল্যে বিক্রয়ের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ইজারা গ্রহীতা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ইজারা বর্হিভূত বালুচরের স্থান থেকে বালু উত্তোলন করে কয়েক কোটি টাকা সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আত্মসাৎ করে আসছেন। এরফলে, সুন্দরবন সংলগ্ন খোলপেটুয়া ও কপোতক্ষ নদের ডুবোচর থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ঘনফুট বালু উত্তোলন করায় সুন্দরবন এলাকাসহ উপকূলীয় দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা ও পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নসমূহে নদী ভাঙ্গন সৃষ্টির উপক্রম হয়েছে। তিনি এব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রদত্ত ইজারা জনস্বার্থে বাতিল ঘোষণার দাবী জানান।
Leave a Reply