শ্যামনগর উপজেলা প্রতিনিধি: বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্যুরো বাংলাদেশের শ্যামনগর শাখার শাখা ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান ও মাঠ কর্মী ডাবলু সরকার সহ ২ জন সাংবাদিক ও দুইজন সাধারণ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ব্যুরো বাংলাদেশের শাখা ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে। লিখিত অভিযোগে মিজানুর রহমান বলেন তিনি গত ১লা জানুয়ারী ২০২৩ তারিখ ব্যুরো বাংলাদেশের শ্যামনগর শাখায় যোগদান করেন। ব্যুরো বাংলাদেশের শ্যামনগর শাখার মাঠ কর্মী ডাবলু সরকার ১৭ নাম্বার কেন্দ্রে গত ৪ঠা জানুয়ারি ঋন আদায়ের জন্য গেলে ওই শাখার ঋণগ্রহীতা সালমা বেগম সদস্য নাম্বার ৫৮০ ঋনের কিস্তি না দিয়ে ডাবলু সরকারের ব্যাগ ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ডাবলু সরকার পুলিশের হেল্পলাইন ৯৯৯ তে কল করলে শ্যামনগর থানার এস আই কামরুজ্জামান এসে সালমা বেগমের নিকট থেকে টাকা ও ব্যাগ উদ্ধার করেন। পরে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জের সামনে বসে ঘটনাটি মীমাংসা হয়। এই শত্রুতার জোরে সালমা বেগম শাখা ব্যবস্থাপক ও মাঠকর্মীর নামে শ্যামনগর থানায় মিথ্যা মামলা দেওয়ার চেষ্টা করে। শ্যামনগর থানা মিথ্যা মামলা না নিলে কৈখালী ইউনিয়নের একজন সাবেক চেয়ারম্যান সালমা বেগমকে ম্যানেজ করে কৈখালীতে তার আপন ফুফা কৈখালী গ্রামের নোরিন বক্সের পুত্র ওয়াহাব সহ তার নিজের লোকজনদেরকে সাক্ষী করে সাংবাদিক হুমায়ুন কবির ও সাংবাদিক আলী মুর্তোজা সহ মোট ছয় জনকে আসামি করে আদালত থেকে এফ আই আর এর নির্দেশ করিয়ে নিয়ে আসে। দুইজন সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার প্রতিবাদে শ্যামনগরের সকল সাংবাদিক ও সুধি সমাজ প্রতিবাদে মানববন্ধন করে। এদিকে ঋনের টাকা না দেয়ার কৌশল হিসাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করায় প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। তিনি বলেন আমরা চাকুরী করতে এসে এধরনের মিথ্যা মামলার শিকার হচ্ছি। ঘটনার বিষয়ে শ্যামনগর থানার এস আই কামরুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন তিনি ৯৯৯ এর কলে ঘটনাস্থলে যেয়ে ব্যাগ ও টাকা উদ্ধার করে ব্যুরো বাংলাদেশের মাঠ কর্মি ডাবলু সরকারকে দেন। এ সময় উভয় পক্ষ মিমাংসা করে নেন।
Leave a Reply