কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) ব্যুরো: অতি বর্ষণে কালীগঞ্জ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার মৎস্য ঘের পুকুর সবজি ও ধানের ক্ষেত ডুবে গিয়ে এবং বসতঘরে পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ ও হাঁস-মুরগি গবাদি পশু সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। রবিবার ও সোমবার দিন ও রাতে মুষলধারে বৃষ্টিপাত এর ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলার সদর রাস্তা সহ এলাকার সব গ্রামের রাস্তা অতি বর্ষণে পানিতে ডুবে গিয়ে মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অতি বর্ষণের ফলে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠান এর খাতা বই আসবাবপত্র ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। কালিগঞ্জ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং খেলার মাঠ ডুবে স্কুলের মধ্যে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া কালিগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রোকেয়া মুনসুর মহিলা কলেজ, কালিগঞ্জ সরকারি কলেজ, শ্রীখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোজাহার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সহ উপজেলার অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রবল বর্ষণে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ডুবে গিয়ে ও শ্রেণিকক্ষে পানি প্রবেশ করে। এছাড়া কুশুলিয়া ইউনিয়ন সহ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে প্রবল বর্ষণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। প্রতিটি বাড়ির উঠানে পানি উঠে পুকুর ডুবে গিয়ে ও মাছের ঘের ডুবে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বেরিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণ হিসেবে জানা গেছে কালিগঞ্জ থানা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আশরাফুল ইসলাম আজিজী জানান অবৈধভাবে মৎস্য ঘের নেট পাঠা কারণে এলাকায় এলাকার কিছু স্বার্থন্বেষী ব্যক্তির কারণে পানি নিষ্কাশনের বন্ধ করে রাখায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে এলাকার মেম্বার চেয়ারম্যান সহ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ভূমিকা না থাকায় সাধারণ মানুষ অসহায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। কালীগঞ্জ উপজেলায় ব্যাপক এলাকার জলাবদ্ধতার কারণে এলাকায় সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকের বসতঘর রান্নাঘর কাঠ ভিজে ও রান্নাঘরে ডুবে রান্না করতে পারেনি বিশেষ করে মাটির কাঁচা ঘর পানিতে ডুবে যাওয়ায় ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। রান্নাঘর রান্নার জ্বালানি কাঠ ভেসে গিয়েছে। এলাকার সচেতন মহল জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Leave a Reply