কলারোয়া প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের বাটরা গ্রামে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের ওপর এক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন টমেটোচাষ সস্প্রসারণে কৃষকদের বীজ, সার সহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন-কৃষি সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম। শুক্রবার (২আগস্ট) কলারোয়া উপজেলার বাটরা গ্রামে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর ওপর এক মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সচিব এ কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এ মাঠ দিবসের আয়োজনে তিনি আরো বলেন, টমেটোর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে ভরা মৌসুমে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ রাখা হবে। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গাজীপুরের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকারের সভাপতিত্বে মাঠ দিবসে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন-ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সাবিহা পারভীন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী আরিফুর রহমান, বারির পরিচালক ড. অপূর্ব কান্তি চৌধুরী, গাজীপুরের সরেজমিন গবেষণা বিভাগের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ মাজহারুল আনোয়ার,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুল হক, সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক ড. জামাল উদ্দীন, প্রকল্প পরিচালক ডা. ফারুক হোসেন, কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস, জলালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান নিশান, বাটরা পূর্বপাড়া কল্যাণ সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আমজাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী, কৃষক বেগম নুরজাহান, শিখা রাণী সহ এলাকার গ্রীষ্মকালীন টমেটোচাষিরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় চাষীরা টমেটো বাজারজাতকরণে সমস্যা, ন্যায্যমূল্য না পাওয়া, কোল্ড স্টোরেজ না থাকাসহ অনেক সমস্যা তুলে ধরেন। কৃষকদের এসব সমস্যা নিয়ে কৃষিসচিব বলেন-বাটরা গ্রামে একটি বিপণন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এছাড়া, শিগগিরই মাল্টি চেম্বার কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেখানে টমেটোর পাশাপাশি বিভিন্ন সবজি ও আলু সংরক্ষণ করা যাবে। এসময় কৃষি সচিব সারের কারসাজি রোধে কঠোরভাবে নজরদারি অব্যাহত রাখার জন্য মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। সাতক্ষীরায় বারি উদ্ভাবিত গ্রীষ্মকালীন হাইব্রিড টমেটো চাষ দিন দিন বাড়ছে। গতবছর জেলায় ৭০ হেক্টর জমিতে এ জাতের টমেটো চাষ হয়েছিল। এ বছর ৯৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।
Leave a Reply