আব্দুল আহাদ, কলারোয়া: সাতক্ষীরা তথা বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চলে যথেষ্ঠ ইমেজের সাথে খেজুরের রস সংগ্রহের মহড়া শুরু হয়েছে। কলারোয়া ও পার্শ্ববর্তী যশোরের মনিরামপুরের বিভিন্ন এলাকার গ্রাম্য গাছিরা এই কাজে যথেষ্ঠ ব্যস্ত সময় পার করছেন। এই মৌসুম অনেকের কাছে বড্ড বেশি প্রিয় কারন খেজুরের রস, নলেন পাটালি ও গুড়ের জন্য। সুস্বাদু খেজুরের রস পছন্দ করেন না এমন মানুষ বিরল। তাছাড়া শহরে বসবাসরত অনেকেই এই রস, গুড় ও পাটালি খুব পছন্দ করেন। শীত কালের রসের পিঠা খুব জনপ্রিয়। আবার গুড় দিয়ে গ্রাম্য গৃহিনীরা হরেক রকম পিঠা তৈরি করে থাকেন। বাংলাদেশের সমতল ভূমিতে সাধারণত খেজুরগাছ বেশি জন্মে। পার্বত্য অঞ্চলে খেজুর গাছ কম জন্মে বিধায় পাহাড়িয়া উপজাতিরা এগুলো খুব পছন্দ করে। গ্রাম্য অর্থনীতিতে রস, পাটালি ও গুড়ের গুরুত্ব অপরিসিম। খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য সাধারণত গাছিরা দুপুরের পরে গাছ কাটার কাজ শুরু করে থাকেন। মাটির তৈরি ঠিলা অথবা ভাড়ে রাতভর রস সংগ্রহীত হয়। ভোরবেলা গাছ থেকে রস সংগ্রহের এই দৃশ্যটা দৃষ্টিনন্দন উৎসবের সৃষ্টি করে। সকালবেলা অনেকে এই রস পান করতে মাঠে আসেন। বাকি রস মাটির পাত্রে জ্বালিয়ে প্রাথমিক ভাবে পাটালি ও পরবর্তিতে গুড় তৈরি করা হয়। শরীরের জন্য সামান্য ক্ষতির দিক বাদ দিলে এই রস ও গুড়ের জুড়ি মেলা ভার। শীত কালে এর স্বাদ ও গন্ধে সত্যি মানুষ ব্যাকুল হয়। শীতের পূর্ণতা যেন এরই মাঝে বিরাজমান।রস ও গুড় প্রাকৃতিক পশরায় পরিনত হয় এই মৌসুমে। আমাদের দেশের গরীব কৃষক সাধারণত গাছি হিসাবে কাজ করে থাকেন। খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের কাজ টি এশবারে সহজ নয়। গাছিরা এ কাজের নায্য পারিশ্রমিক পেলে তারা অধিক উৎসাহিত হবেন। ফলে প্রাকৃতিক এই সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ ও এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখা সম্ভব হবে বলে অনেকে মনে করেন।
Leave a Reply