ন্যাশনাল ডেস্ক: মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় এক আওয়ামী লীগ নেতার নির্দেশে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের ফুরশাইল গ্রামের পোদ্দার বাড়ি শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দিরের ফটকের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করেন এলাকাবাসী। তারা এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলে পরে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। আটক দুজন হলেন- ফুরশাইল গ্রামের রিফাত ও কাজীরবাগ গ্রামের তুহিন। তাদের সঙ্গে থাকা সমিত বেপারি ঘটনার পর পালিয়ে যান।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে রাধাগোবিন্দ মন্দিরের ফটকের সামনে একটি বোমা ফাটায় তিন যুবক। এ সময় এলাকাবাসী জড়ো হয়ে রিফাত ও তুহিনকে ধরে ফেলেন। এরপর তারা স্বীকার করেন, মালখানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ খানের নির্দেশে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। পরে তাদের মা-বাবাকে ডেকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দোলোয়ার হোসেন জানান, বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির ঘটনা সত্য। তবে আমি ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা অভিযুক্ত দুজনকে তাদের অভিভাবকের জিম্মায় দিয়ে দেন। খবর পেয়ে শনিবার বেলা ১১টায় মালখানগর ইউনিয়ন পরিষদে সেনাসদস্যরা আসেন। কিন্তু রিফাত ও তুহিন রাতেই বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন। অভিযোগের বিষয়ে মালখানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মাসুদ খানের সঙ্গে যোগাযোগ হলে তিনি বলেন, এসব ঘৃণ্য কাজে নির্দেশ দিতে পারি না। একটি মহল আমাকে ফাঁসানোর জন্য ওদেরকে পিটিয়ে এসব কথা বলিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মো. জামান বলেন, সেনাবাহিনী এসেছিল। তবে তারা আসার আগেই দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে গেছে। আর কোনো নাশকতার ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে আমরা সজাগ আছি।
Leave a Reply