শেখ আব্দুস সালাম শ্যামনগর থেকে: সুন্দরবনের সাপখালী খাল থেকে ১২টি নৌকা, ১ হাজার পিস আটল এবং ৪জন ব্যক্তিকে আটক করেছে সিপিজির সদস্য ও বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা। ১৩ আগস্ট রোববার রাতে সুন্দরবনের কোবাতক স্টেশনের সাপখালী খাল এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে উক্ত নৌকা, আটল এবং ৪জন জেলেকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান গাবুরা সিপিজির সদস্যরা। জুন, জুলাই, আগস্ট তিন মাস সুন্দরবনে মাছ, কাঁকড়াসহ পর্যটক প্রবেশ সরকারিভাবে নিষিদ্ধ। এলাকাবাসী জানায় বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে কিছু জেলে মাছ ও কাঁকড়া আহরণ করতে যায়। অসাধু কর্মকর্তাদের এক গ্রুপ ম্যানেজ হয়ে জেলেদের যাওয়ার সুযোগ করে দিলেও অন্য গ্রুপ অথবা আরো বেশি উৎকোচের আশায় ঐ জেলেদেরই আটক করে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয়রা বলেন, বন বিভাগের কড়া পাহারার মধ্যেও জেলেরা সুন্দরবনে প্রবেশ করে কেবল তাদের সহযোগিতায়। একইভাবে সুন্দরবনে প্রবেশ করে হরিণ ও বাঘ শিকারীরা। কিন্তু তারা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের কারো টিকিটিও ছুতে পারে বলে আক্ষেপ করেন অনেকে। তারা স্বীকার করেন অবৈধভাবে সুন্দরবনে যাওয়াটা অপরাধ, তবে যারা যাচ্ছেন তারা নিন্তান্তই পেটের দায়ে।
গতকাল আটককৃত কাকড়া শিকারীরা হলেন, কয়রা উপজেলার দোশালিয়া গ্রামের জেহের আলীর ছেলে ইমদাদুল (৪০), মৃত মোনাজাত মোল্লার ছেলে শাহিনুর (৪০), মৃত আবুল কাশেমের ছেলে সেফাতুল্লাহ (২৭), রহিম সরদারের ছেলে আবদুল্লাহ (২৭)। আটককৃতদের বন আইনে মামলা দিয়ে সাতক্ষীরা আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান কোবাতক স্টেশন কর্মকর্তা মোবারক হোসেন।
Leave a Reply