নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার , ৫ নং শিবপুর ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়া (বারোপোতা সংলগ্ন) এলাকায় কৃষি জমি থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। উপজেলার পরানদাহ গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে নাজমুল ইসলাম ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেই চলেছে। একাধিত বার এলাকাবাসী নিষেধ করার পরেও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা বন্ধ হয়নি। তাছাড়া কৃষি জমি বা ভূগর্ভের বালি উত্তোলন সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ করা হলেও প্রকাশ্যে বালি উত্তোলনের ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। এলাকাবাসীর বলেন, ভবিষ্যতে আমাদের বড় ক্ষয়-ক্ষতি হইতে পারে।
৫ নং শিবপুর ইউনিয়নের হরিসপুর রাস্তার পাশ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। ক্ষমতার দাপটে। বালু ভরাটের জন্য সরকার বালু মহল থেকে বালু নিয়ে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন কী? জনমানুষের ক্ষতির কথা চিন্তা না করে বসতবাড়ির পাশে হরিসপুরে কৃষি জমি থেকে বা ভূগর্ভের বালি ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে অবৈধপন্থায় বালু উঠিয়ে অন্য জায়গা ভরাট কারা হচ্ছে। বালু উত্তোলনের কর্মকান্ডে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকার সাধারণ মানুষরা।
ফলে,পাশের জমির মালিকদের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। একারনে পাশের জমির মালিকগন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বালি উত্তোলন বন্ধ করার জন্য।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,নাজমুল ইসলাম তার জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী পাম্প, ড্রেজিং বা অন্য কোন উপায়ে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবেনা। ওই আইনের (৩) উপধারা (২) এ বলা হয়েছে ড্রেজিং কার্যক্রমে বাল্কহেড প্রচলিত ভলগেট, ড্রেজার ব্যবহার করা যাবেনা। এভাবে বালু উত্তোলন আইনত দন্ডনীয় অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। বিদ্যমান আইনকে অবজ্ঞা করে দীর্ঘ দিন অবৈধ বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে, স্থানীয় কয়েকজন সচেতন ব্যাক্তি জানান, তারা পল্ট্রি খামার করার কথা বলে জমি থেকে বালু করছে।
এলাকাবাসী জানান, বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
সাতক্ষীরা জোনের পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদেরকে বলেন আপনারা একটা নিউজ করেন তার পরে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
গতকাল সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে,বালু উত্তোলনের ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা নিশ্চিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে,স্থানীয় তথ্য অনুযায়ী গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত বালু উত্তোলন করলেও প্রশাসনের কেউ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়নি। উল্টো বালু উত্তোলনকারীরা স্থানীয় অভিযোগকারীদের গাছ কাটা ও চাঁদাবাজি মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়।
Leave a Reply