নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা সাব রেজিস্টার অফিসের অমায়িক বাবু এবার সাংবাদিকদের জানে মারার হুমকি দিলেন মোবাইল ফোনে জানা যায় ২৯/০৯/২০২৫ তারিখে সোমবার দুইটার দিকে তার বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার ০১৭০৮-৯১৪৫৮৫ এই নাম্বারে যশোর বার্তা পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক আল আমিন সরদার ঘুষ বাণিজ্যের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তিনি ফোন দিলে সাব রেজিস্টার অফিসের অমায়িক বাবু তাকে বলেন প্রতি মাসে আপনি মাসিক টাকা নিবেন দয়া করে বিরক্ত করবেন না তার বক্তব্যে জবাবে দৈনিক যশোর বার্তা পত্রিকার নিজস্ব প্রতিনিধি আল আমিন সর্দার বলেন আমি আপনার কাছে ঘুষ বাণিজ্য যে নিউজ প্রকাশ হয়েছে সে বিষয়ে কোন কিছু জেলা অফিস থেকে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাই তখন সাতক্ষীরা জেলার সদরের সাব রেজিস্টার অমায়িক বাবু বলেন এই কুত্তার বাচ্চা বেশি কথা বলবি না বেশি কথা বললে তোকে জানে মেরে দেব এবং তিনি আরো বলেন মহসিন কখনো ঘুষ-বানিজ্য করে না বেশি বাড়াবাড়ি করবি না আমাকে চিনিস এবং অকৃত ভাষায় গালিগালাজ করে এটা মোবাইল ফোনের রেকর্ড করা আছে। উল্লেখযোগ্য সাতক্ষীরা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে চাহিদা মোতাবেক ঘুষের টাকা ছাড়া কোন দলিল হয়না বলে অনেকের অভিযোগ তাছাড়া অভিযোগ আছেন ৫ আগস্টের পর সরকার পতনের হওয়ার পর বিভিন্ন ধরনের নেতা ও সাংবাদিক পরিচয় এই ঘুষ-বানিজ্যয় মেতে উঠেছেন সাতক্ষীরা সাব রেজিস্টার অফিসের প্রতিটি খাতে , আর পোস্টমোর্টেম করেন খোদ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিরা। এ যেন হরিলুটের বাতাসা। দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে সদর সাবরেজিষ্ট্রি অফিস। যে যেভাবে পারছে ছিনিয়ে নিচ্ছে এমনই অভিযোগ পাওয়া গেছে দলিল লেখক ও সাবরেজিষ্ট্রারসহ কতিপয় কর্মচারিদের বিরুদ্ধে। আর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদের। বারবার তাদের এই ঘর বাণিজ্য দুর্নীতির নিউজ প্রকাশ করলে থামছেন না তাদের এই ঘুষ বাণিজ্য বড়বাবুর কলমও চলছে না টাকা ছাড়া এমনই পৌরনীতি বর্তমান সাতক্ষীরা সাব রেজিস্টার অফিস।
সূত্র জানায়, গত কয়েক বছর যাবত সাতক্ষীরা সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস নিয়ন্ত্রণ করে আসছে অফিস সহকারি মহসিন সহ কয়েকজন কর্মচারী। তাদের নেত্রীত্বে রয়েছে কয়েকজন সিন্ডিকেট সদস্য টিসি সহকারী হাবিব ও অফিস সহায়ক বাচ্চু। এর মধ্যে প্রধান হলোমহাসিন, আর মহসিনের বিরুদ্ধে আছে হাজারো অভিযোগ। দলিল লেখকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন হরহামেশা। চুক্তি ছাড়া হয়না দলিল। সাবরেজিষ্ট্রারও বলে দেন মহসিনের কথা। মহসিনের অত্যাচারে অতিষ্ট দলিল লেখক ও সাধারণ মানুষ। জানা গেছে, জেলা রেজিষ্ট্রারের আস্থাভাজন হওয়ায় দীর্ঘ দিন একই কর্মস্থলে আছেন। হাবিব ও বাচ্চু জেলার সকল অফিস থেকে জেলা অফিসের জন্য কালেকশন করে থাকে।
সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের ঘুষের টাকা গ্রহণকারী মহসিন দলিলের পর্চার ফটোকপি হলে মূল্য অনুযায়ী ১৫/২০ হাজার টাকা, পাওয়ার থেকে জমি হস্তান্তর হলে ১০ হাজার থেকে লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে থাকেন। আর দলিল প্রতি টাকা তো আছেই।
কোন জমি প্লট আকারে ক্রয়-বিক্রয় করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শতকরা ৫% রাজস্ব প্রদানের বিধান রয়েছে কিন্তু এক্ষেত্রে তিনি দলিল লেখকের মাধ্যমে দাতা গ্রহীতাকে প্লট ঘোষণা দিতে নিষেধ করেন। ফলে দাতা, গ্রহীতা ও সাব-রেজিষ্ট্রার সকলেই লাভবান হলেও সরকারের ব্যাপক রাজস্বে ক্ষতি হয়। তার কার্যকলাপে সাতক্ষীরা সদর রেজিস্ট্রি অফিসে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ এখন অতিষ্ঠ। তার বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণে দাবী সাতক্ষীরাবাসী।
খুলনা বটিয়াঘাটা সাবরেজিষ্টার অমায়িক বাবু গত ১৭-০৪-২৫ তারিখে যোগ দানের শুরুতেই তিনি শুরুতেই জড়িয়ে পড়েছেন বিভিন্ন অনিয়মের সাথে।
এব্যাপারে জেলা রেজিষ্ট্রার হাফিজা খাতুন রুমা জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবো। দুর্নীতির সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য সাতক্ষীরাবাসী প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা ও দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply