নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে মাটি মিশ্রণকৃত গবাদিপশু খাদ্য বস্তা জাত করে বাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত গবাদিপশুর খাদ্য পালিশ কুড়া, ভূট্রা গুড়াতে মাটি ও বালু মিশ্রণ দিয়ে পশুখাদ্যে ভেজাল দিয়ে আসছে অসাধু ব্যবসায়ী মেসার্স রফিকুল ট্রেডার্স এন্ড রাইচ মিল এর স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম। কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা বেঁজরআটি গ্রামের আরশাদ এর ছেলে রফিকুল ইসলাম। স্থানীয়রা অভিযোগ তুলে বলেন, ইতিপূর্বে রফিকুল ট্রেডার্স এন্ড রাইচ মিলে গবাদিপশু খাদ্যে ভেজাল দেওয়ার অপরাধে ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম কে তৎকালীন সময় কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রীতিমতো জেল জরিমানা করেন। গবাদিপশু খাদ্যে ভেজাল মিশ্রনের দায়ে জেল, জরিমানা করা স্বত্তেও পশু খাদ্যে ভেজাল দেওয়া থেকে বিরত থাকেনি অসাধু ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম। প্রতিনিয়ত রফিকুল এর ভেজাল মিশ্রিত বস্তা বন্দী খাদ্য সাতক্ষীরা জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাজারজাত করছে। এসব ভেজাল খাদ্য পালিশ কুড়া, ভূট্রা গুড়া খেয়ে গৃহপালিত পশু যেমনঃ গরু, ছাগল, হাঁস মুরগী অসুস্থতার কবলে পড়ে মারা যাচ্ছে। সেকারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খামার ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ছোট পরিসরে গরু, ছাগল, হাঁস মুরগী পালিত ভুক্তভোগীরা। এদিকে রফিকুল ইসলাম এর ভেজাল খাদ্যের ক্ষতিকর নেতিবাচক প্রভাবে অসুস্থ হয়ে মরে যাওয়া গরু সাতক্ষীরার কসাই জনি, আখড়াখোলা বাজারের আফসার উদ্দিন বিক্রি করেন। সরেজমিনে ০১লা মে বুধবার সকালে যেয়ে দেখা যায়, কালিগঞ্জ নলতা বেঁজুরআটি লেদমোড়ে অবস্থিত রফিকুল ট্রেডার্স এন্ড রাইচ মিলের সামনে শুকনো মাটি মজুতকরণ আছে। এ সময় মিলের ভিতর প্রবেশের পর পশুখাদ্য পালিশ কুড়ার মধ্যে মাটি মিশ্রণ চোখে পড়ে। এ বিষয় কালিগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শংকর কুমার দে মুঠোফোনে আলাপকালে বলেন, পশুখাদ্যে ভেজালকারীর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ বিষয় কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজাহার আলী মুঠোফোনে আলাপকালে বলেন, গবাদিপশু খাদ্যে ভেজাল মিশ্রন কারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
Leave a Reply