নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে বিয়ের কয়েক ঘণ্টা না যেতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক নববধূ। মতের বিরুদ্ধে বিয়ে হওয়ায় এমন কাজ করেছেন বলে দাবি করেছেন কলারোয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান।
সোমবার কলারোয়া থানার উপ-পরিদর্শক অনীল মুখার্জি বলেন, রোববার রাতে ওই ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে হয়। নববধূ রঘুনাথপুর গ্রামের আমির আলীর মেয়ে ঊষা খাতুন (২০)। নববধূর স্বামী হলেন কলারোয়া পৌর সদরের ঝিকরা গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ আলীর ছেলে সুমন।
এলাকাবাসী জানান, রোববার দুপুরে ঊষা খাতুনের সঙ্গে সুমনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সুমন তার নববিবাহিতা স্ত্রীকে তার বাবার বাড়ি রেখে নিজের বাড়িতে চলে যান। একই দিন সন্ধ্যায় ঊষার সঙ্গে তার দাদির বাগবিতণ্ডা হয়। এরপর সবার অজান্তে নিজ ঘরে গিয়ে ঊষা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে রাতে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
কলারোয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রোববার রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আত্মহত্যার সঠিক কারণ ঊষার স্বজনরা বলতে পারছেন না। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ঊষার মতের বিরুদ্ধে বিয়ে হওয়ায় এমন কাজ করেছেন। উভয় পরিবারের সম্মতিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply