জিএম মামুন বিশেষ প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় জেলায় অবাধে চলছে লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক তার ভিতরে অন্যতম বিতর্কিত শিশু মৃত্যুর কারখানা হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে শ্যামনগরের এম.আর.এ ক্লিনিক এন্ড হাসপাতাল। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখের সামনে দাপটের সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে মানহীন এপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। ফলে ক্লিনিকে প্রায়ই ঘটছে মা ও শিশু মৃত্যুর ঘটনা। এম আর এ ক্লিনিকে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে প্রশাসনের লোকদের ম্যানেজ করে পার পেয়ে যায় ওই হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ। সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে কীভাবে চলছে এ প্রতিষ্ঠান তা নিয়ে সচেতন মহলের মধ্যে রয়েছে উদ্বেগ। অভিযোগ উঠেছে, সরকারি সব নীতিমালা ভঙ্গ করে অবাধে চলছে এম.আর.এ ক্লিনিক এন্ড হাসপাতাল। লাইসেন্স নবায়ন ছাড়াই নিয়ম বহির্ভূত ভাবে চলছে ক্লিনিক। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্লিনিকে সার্বক্ষণিক নেই কোনো চিকিৎসক । নেই কোনো ডিপ্লোমা সার্টিফিকেটধারী নার্স। ক্লিনিকের পরিবেশও অস্বাস্থ্যকর। লাইসেন্স ও নবায়ন করা নেই ।অ্যানাস্থেসিয়া ডাক্তার ছাড়াই চলে অপারেশন।
অভিযোগ রয়েছে জেলার সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে চলছে মানহীন এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। হাসপাতালের ওটির ভিতরে ও বাইরে ১-২ দুই জন প্রসূতি ও নবজাতক শিশু মৃত্যুর ঘটনা যেন নিত্য দিনের সঙ্গী। পৃথক মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের জন্য জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে কমিটি করা হয়েছে কয়েকবার। তদন্ত কমিটির সঠিক তদন্ত নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। আদৌ তদন্ত সঠিক হয় কিনা, দোষীরা শাস্তির আওতায় কেন আসেনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন সাধারণ মানুষ ও ভুক্তভোগীদের পরিবার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালে কর্মরত একজন স্টাফ বলেন,ভাই এসব নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে লাভ হবেনা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব কিছু ম্যানেজ করে চলে।কাকে ম্যানেজ করেন জানতে চাইলে বলেন, জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তাদের নিয়মিত টাকা দিয়ে হাসপাতাল অবাধে চলছে।
বিষয়টি জানতে চাইলে এমআর ক্লিনিকের পরিচালক সোলাইমান হোসেন বলেন, আমাদের লাইসেন্স আছে, নাকি নেই ,সে বিষয় সিভিল সার্জন ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ভালো জানেন। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন সিভিল সার্জন ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে নাকি?। লাইসেন্স বিহীন আমাদের প্রতিষ্ঠান চললেও তারা বন্ধ করে দিচ্ছেন না কেন বলে এই প্রতিবেদককে প্রশ্ন করেন তিনি।
বিষয়টি জানতে চাইলে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার জিয়াউর রহমান জানান,এম.আর.এ ক্লিনিক এন্ড হাসপাতালের লাইসেন্স কয়েক বছর নবায়ন নেই। তবে ওই প্রতিষ্ঠানের কতৃপক্ষ নবায়ন করার জন্য আবেদন করেছে। বিষয়টি জানার জন্য সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন সবিজুর রহমানের কাছে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply