সোহরাব হোসেন: গতকাল বিকালে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরীতে নদী ও পরিবেশ রক্ষা কমিটিরএক জরুরি সভার আয়োজন করা হয়। বাবু আদিত্য মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আখতার হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বিসিএল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোখলেছুর রহমান,তালা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন-আহবায়ক গৌতম কর্মকার, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মাস্টার মনসুর আলী ,সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ, শেখ আবু সুফিয়ান সজল, শেখ শওকত আলী, আব্দুর রব পলাশ, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মোঃ রহমত আলী ,শাহাজান আলি ছোট বাবু ,সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক আবু সেলিম, ইউসুফ আলী সরদার, শেখ হাফিজুর রহমান, নাজমা আক্তার নদী, সাংবাদিক মনসুর আলী, সাংবাদিক সোহরাব হোসেন ,নাজমুল হোসেন বাবু, আলিমুজ্জামান আলিম, আরমান, আলিফ, শাহজাহান আলী ,ইসমাঈল হোসেন , সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, বক্তরা নদী ও পরিবেশক্ষা করতে ১৯৬২সালের মাঠ জরিপ (এসএ) রেকর্ড অনুযায়ী নদী ও খালের সীমানা সংরক্ষণ করতে হবে এবং ১৯৯২ সালের মাঠ জরিপ অনুযায়ী নদী ও খালখনন করতে হবে। নদী-খালের ভেড়ির ভিতরে অবস্থিত ব্যক্তি মালিকানাধীন রেকর্ডকৃত জমি ১নং খাসখতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করে যে কোনাে ব্যক্তির দখল নির্মূল করতে হবে এবং ভবিষ্যতে যেন আবারও বেদখল না হয় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নদী-খালখনন করে প্রত্যেক নদী, খাল, পাশ খালের সঙ্গে সংযুক্ত করে জোয়ার-ভাটার ব্যবস্থা করতে হবে।মােবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে দ্রæতনদী ও খালের পাশের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে হবে। অবৈধ উচ্ছেদের পূর্বে অসহায়, ভূমিহীনদের পুনর্বাসন করতে হবে। পানি নিস্কাষণের সুবিধার্তে নদী-খাল কোনাে ভাবেই আবদ্ধ রাখা যাবে না। বেতনা নদীর ধার দিয়ে ইট ভাটার অবৈধ দখলকৃত চর পুনরুদ্ধার করতে হবে। নিচু বিলগুলাে উঁচু করতে জরুরি ভিত্তিতে টিআরএম (টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট) ব্যবস্থা চালু করতে হবে। জলাবদ্ধতার কারণে দরিদ্র সীমার নিচে থাকা হাজার হাজার অসহায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার ব্যবস্থা করতে
হবে। নদী ও খালের ভেড়ি এবং গ্রামীণ সড়কের পাশে পরিকল্পিত বনায়ন করে পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নদী-খালকে দূষণমুক্ত রাখতে হবে। সড়ক ও গ্রামীণসড়ক ঘেরের ভেড়ি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। খাসবাদ দিয়ে ভেড়ি করতে হবে। সড়ক, গ্রামীণসড়ক ও নদীর প্রশস্ততা ঠিক রেখে কাঁচা-পাকা স্থাপনা তৈরি করতে হবে। ব্রিজ-কালভার্ট তৈরির সময় দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করে নদী এবং খালের প্রবাহ ঠিক রাখতে হবে, গ্রামীণ সড়কে চলাচলরত যান বাহনে গ্যাস ও শিষামুক্ত জ্বালানী ব্যবহার করে পরিবেশ রক্ষা করতে হবে।বনের গাছ কেটে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহারনা করে বিকল্প জ্বালানী ব্যবহার করতে হবে। তামাকপাতা প্রসেসিং,ইটভাটা, বেকারি ও হােটেল রেস্তোরায় কাঠ পােড়ানো বন্ধ করতে হবে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মফিজুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নদী বন পরিবেশ রক্ষা কমিটি।
Leave a Reply