1. nokhatronews24@gmail.com : ajkarsatkhiradarpan darpan : ajkarsatkhiradarpan darpan
  2. install@wpdevelop.org : sk ferdous :
সাতক্ষীরায় জন্মনিবন্ধনে ডিজিটাল ভোগান্তি সিন্ডিকেটে নাজেহাল নাগরিকেরা!!! - আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ
মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০৯ পূর্বাহ্ন
১৫ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
📰আশাশুনিতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ঘটকসহ আহত-৩📰সাংবাদিকের জানে মেরে দেবো সাতক্ষীরা সাব রেজিস্টারের অমায়িক বাবুর হুমকি📰তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা সাতক্ষীরা শাখার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ📰সাতক্ষীরায় ডিবি পুলিশের অভিযানে অনলাইন জুয়া চক্রের এজেন্টসহ গ্রেফতার- ২📰প্রথম আলোর বিভ্রান্তিকর রিপোর্টের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি📰সদরের সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের ঘুসের টাকা গ্রহনকারী মহসিনের ক্ষমতার উৎসাহ কোথায়? (১ম পর্ব)📰স্বামী-সন্তানকে ফেলে পরকীয়ায় রেহেনা এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ📰পাইকগাছায় ইয়াবাসহ যুবক আটক📰পাইকগাছায় বিভিন্ন পূজামন্ডপে বিএনপির সিসি ক্যামেরার প্রদান📰শ্যামনগরের ৭০টি পূজা মন্দিরে বিএনপির উপহার হস্তান্তর

সাতক্ষীরায় জন্মনিবন্ধনে ডিজিটাল ভোগান্তি সিন্ডিকেটে নাজেহাল নাগরিকেরা!!!

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : সোমবার, ২৯ আগস্ট, ২০২২
  • ১০৪ সংবাদটি পড়া হয়েছে

সদর প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নের কৃষক নিলু। ছেলের জন্ম তারিখ ১৯৯৭ সালে আর মেয়ের ২০০১ সালে। তবে জন্ম নিবন্ধনে ছেলে-মেয়ে উভয়ের ই জন্মের সাল লেখা হয়েছে ১৯৯৭। ছেলের জন্মের সাল ঠিক থাকলেও মেয়ের জন্মের সাল ঠিক ছিলনা। এ কারণে মেয়ের জন্মের সাল সংশোধনের জন্য তিনি বাঁশদহা ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টার থেকে আবেদন করে আবেদন ফর্ম জমা দিয়েছিলেন ইউএনও অফিসের নিচ তলায় জমা নেওয়ার দায়িত্বে থাকা পিয়নদের কাছে। তবে তার সেই আবেদন ফর্ম ১ মাসেও নিচ তলা থেকে দ্বিতীয় তলায় ইউএনও মহাদয়ের টেবিলে পৌঁছাইনি। ১ মাস পর ইউএনও অফিসে এসে খোঁজ নিয়েছিলেন নিলু। তবে তার সেই আবেদন ফর্ম আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তখন তিনি আবারও আবেদন করে জমা দেন নিচ তলায় দায়িত্বে থাকা পিওনদের কাছে। আবারও ১৫ দিন পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার সেই আবেদন ফর্মও হারিয়ে গেছে। এরপর তিনি অন্য একজনের পরামর্শে বাধ্য হয়ে আবারও আবেদন করেন। তবে আবেদন ফরম এবার আর তিনি পিয়নদের কাছে জমা দেননি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর সরাসরি জমা দেন ইউএনও মহাদয়ের কাছে। সাথে সাথে তার কাজটি করে দেন ইউএনও।
নিলু বলেন, ‘জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য আবেদন ফরম নিচে পিয়নদের কাছে জমা দিলে সেটি আর ইউএনও স্যারের কাছে পৌঁছাইনা। ওইখান থেকেই উধাও হয়ে যায়। যারা পিয়নদের টাকা দিতে পারছে তাদের কাজ দিনের দিন হয়ে যাচ্ছে। মেয়ের জন্ম নিবন্ধন ঠিক করতে আমার ৫ দিন যেতে হয়েছে উপজেলায়! আমি গরিব, মূর্খ মানুষ। তেমন একটা কিছু বুঝিনা। ইউনিয়ন পরিষদ হতে আমাকে উপজেলার নিচের তলায় জমা দিতে বলেছিল বলে জমা দিয়েছিলাম। ৫ দিন আমার কাজ কামায় হয়েছে। এছাড়া যাতায়াতেও আমার অনেক খরচ হয়েছে।’ আমার জীবনে এতো ভোগান্তিতে আর পড়িনি। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মচারীর কারণে কৃষক নিলুর মতো প্রতিদিন এমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শত শত মানুষ। জন্ম নিবন্ধন ঠিক করতে না পেরে দিনের পর দিন ইউএনও অফিসে আসছেন আর ফিরে যাচ্ছেন তারা। ফলে সরকারের মহতি উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের উদ্যোক্তা ও স্থানীয় কিছু দালালের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে একটি সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী তাজদিকুর রহমান। আর তাজদিকুর রহমানকে সহায়তা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের পিয়ন আনিস, নরেশ, গৌরাঙ্গ। দিন শেষে যে টাকা ইনকাম হয় তা ভাগ বাটোয়ারা হয় ৫ ভাগে। তাজদিকুর রহমান, আনিস, নরেশ, গৌরাঙ্গ ছাড়াও ওই টাকার একটা অংশ চলে যায় সদর উপজেলা নিবাহী অফিসারের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের পকেটে। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, সদরের কয়েকটি ইউনিয়নের উদ্যোক্তা ও দালালরা আবেদন ফরম সংগ্রহ করেন এবং তাদের কাছ থেকে ২০০, ৫০০ থেকে শুরু করে বিভিন্ন অংকের টাকা নেন। এরপর ওই উদ্যোক্তা ও দালালরা ওই ফরমগুলো জমা দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের ওই ৪ কর্মচারীর কাছে। দ্রæত কাজ করে দেবে এই শর্তে ওই ৪ কর্মচারী ওই উদ্যোক্তা ও দালালদের কাছ থেকে ফর্ম প্রতি ৪০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা করে নিয়ে থাকেন। যে আবেদন ফর্মগুলোর টাকা পান তাজদিকুর রহমান, আনিস, নরেশ, গৌরাঙ্গ ঠিক সেই ফর্মগুলো তারা ইউএনও মহাদয়ের কাছে জমা দেন। আর ওই আবেদন ফর্ম গুলোর কাজ সম্পন্ন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। আর যারা দালালের মাধ্যমে টাকা দিয়ে কাজ না করে সরাসরি এসে ওই কর্মচারীদের কাছে জমা দেন তাদের ফর্ম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে পৌঁছায়না। নিচ তলা থেকেই হারিয়ে যায়। ফলে দিনের পর দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে আসছেন আর ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কার্যালয় সংশ্লিষ্ঠ একজন বলেন, ‘আমার নিজের এলাকার এজন জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য আবেদন ফর্ম আমার কাছে দিয়ে গেলে আমি সেটি একজন পিয়নের কাছে দিয়েছিলাম। তবে সেটি দের মাসেও ইউএনও স্যারের কাছে পৌঁছাইনি। পরে আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ইউএনও স্যারের কাছ থেকে আবেদন ফর্মটি ঠিক করে নিয়েছিলাম। আপনি তো অফিস সংশ্লিষ্ঠ তা আপনার দের মাস লাগলো কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হয়তো আমি টাকা দিতে পারিনি এজন্য আমার দেওয়া ফরমটি তারা ইউএনও স্যারের কাছে দেয়নি।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে সদরের এক ইউপি উদ্যোক্তা বলেন, ‘টাকা না দিলে ইউএনও অফিসের পিয়নরা কাজ করেননা। ফর্মপ্রতি তাদের ৪০ টাকা থেকে শুরু করে আরো বেশি টাকা দিতে হয়। সরাসরি পিয়নদের কাছে ফর্ম জমা দিয়ে আমার এলাকার অনেকেই ভোগান্তিতে আছেন। তারা দিনের পর দিন আমার এখানে এসে খোঁজ নেন। তবে আমারতো কিছুই করার থাকেনা। আমি তাদের উপজেলায় খোঁজ নিতে বলি।’
এ ব্যাপারে জানার জন্য সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের নম্বরে বারবার যোগাযোগ করলেও নম্বর বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সাতক্ষীরা উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ের অফিস সহকারী তাজদিকুর রহমান বলেন, ‘এখানে কোন টাকা নেওয়া হয়না। ফর্ম জমা দিলে সিরিয়াল অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করা হয়।’ কিছু কিছু আবেদন ফর্ম মাসের পর মাস পড়ে থাকে কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সার্ভারের সমস্যা থাকে এজন্য পড়ে থাকে।’ এরপর অফিসে আসতে বলেই তিনি মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেন, ‘এমন অভিযোগ আমার কাছেও এসেছে। এজন্য আমি প্রতি দিনের আবেদন ফর্ম প্রতি দিন আমার টেবিলে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। আমার নির্দেশনা অমান্য করে জন্ম নিবন্ধনের জন্য যদি কেউ টাকা গ্রহণ করে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমার দুয়ার সবসময় সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত। আবেদন ফরম নিয়ে সরাসরি আমার সাথে দেখা করার অনুরোধ করছি।’

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :

সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি:

এম এ কাশেম ( এম এ- ক্রিমিনোলজি).....01748159372

alternatetext

সম্পাদক ও প্রকাশক:

মো: তুহিন হোসেন (বি.এ অনার্স,এম.এ)...01729416527

alternatetext

বার্তা সম্পাদক: দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা

সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক :

মো: মিজানুর রহমান ... 01714904807

© All rights reserved © 2020-2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd