মোঃ মুজাহিদ সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নে ব্যাংদহায় সরকারি নিয়ম-নীতিকে তোয়াক্কা না করে বেআইনিভাবে ভূগর্ভ থেকে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,ব্যাংদহা সরাপপুর ব্রিজ টু টিকেট সড়কের অবদার রাস্তা পিছের কার ফিটিংয়ের কাজ করার জন্য রাস্তা খনন করা হয়েছে, সেখানে রাস্তায় বালি ভরাটের জন্য স্থানীয় ঠিকাদার কয়েক মাস আগে প্রথমে মরিচ্চাপ নদীতে ড্রেজার মেশিন লাগিয়ে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর সংলগ্ন স্থান থেকে, ও পরবর্তীতে আড়খুনি খাল থেকে ড্রেজার মেশিন লাগিয়ে পাইপ লাইনের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করছিল। সংবাদ পেয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে ভূগর্ভ থেকে বালু উত্তোলনের কাজ বন্ধ করে দেয় । বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর বর্তমানে গত ৫ মে ২০২৩ ইং তারিখ হইতে আশ্রয়ন প্রকল্পের পাশে মরিচ্চাপ নদী থেকে আবারও ভূগর্ভ হতে বালি উত্তোলনের কাজ অব্যাহত রেখেছেন ,ড্রেজার মেশিন মালিক ফিংড়ী গ্রামের বালু দস্যু মইরুদ্দিন।বালু উত্তোলন এলাকায় অবস্থিত, পারগাভা দেয়াকুড় ৪ ফুটের গেট, ব্যাংদহা মরিচ্চাপ নদীর পাড়ে অবস্থিত ২১০ টি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া আশ্রায়্ন প্রকল্পের টিনশেটের ঘর , ১২০ টি আশ্রয়ন প্রকল্পের ছাদের ঘর , গাভা বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়্যান কেন্দ্র , গাভা সর্বজনীয় মহাশ্মশান কালী মন্দির,ব্যাংদহা মরিচাপ নদীর উপর তিনটি ব্রিজ, ব্যাংদহা বাজারের অবস্থিত ৪০০ টি দোকান, মরিচ্চাপ নদীর পাড়ে মাছের সেট , কয়েকটি ব্যাংক, কমিউনিটি ক্লিনিক, ভূমি অফিস সহ এলাকার একাধিক মসজিদ, সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো হুমকির মুখে,কিছুদিন আগে সাতক্ষীরা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বালু উত্তোলনের কাজ বন্ধ করে দিলেও বর্তমানে সরকারের আইন-কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে স্থানীয় ঠিকাদার ও ড্রেজার মেশিন মালিক বালু দস্যু মইরুদ্দিন বালু উত্তোলনের কাজ অব্যাহত রেখেছেন। যেখানে কিনা মাটি ও বালু ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ২৬ ধারায় বলা হয়েছে, পাম ড্রেজিং ও অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালুমাটি উত্তোলন করা যাবে না, সেতু, কালভাট, ড্যাম,ব্যারেজ, সড়ক ও মহাসড়ক বন অথবা আবাসিক এলাকা থেকে সর্বনিম্ন ১ (এক) কিলোমিটার সীমানার মধ্যে থেকে বালু উত্তোলন করা যাবে না। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি হাইকোর্টের ১৬৩৯২/২০১৭ নং রিট এর আইন অমান্য করলে বা অন্য কোনো বিধান লংঘন করে, অথবা বালুমাটি উত্তোলনের জন্য বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেখে বালু বা মাটি উত্তোলন রেল লাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি বা বেসরকারি পাকা স্থাপনা করলে সে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী ব্যক্তিবর্গ (এক্রিকিউটি বডি) আইন অমান্যকারীদের অনূর্ধ্ব ২ (দুই) বছর কারাদণ্ড বা সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা হতে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দন্ডিত হতে পারেন। কিন্তু সরকারি আইন-কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে সরকারি নির্দেশনাকে না মেনে বেআইনি ভাবে ভূগর্ভ থেকে বালু উত্তোলনের কাজ অব্যাহত রেখেছেন । স্থানীয়দের ধারণা ভূ গর্ভ থেকে বালি উত্তোলনের কাজ যদি বন্ধ করা না হয়, তাহলে সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ৩৩০টি ঘর, ব্রিজ, কালভাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংদহা বাজার সহ যেকোনো সময় ধ্বসে পড়তে পারে। এমতাবস্থায় অতিদ্রুত আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্মকর্তার আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
Leave a Reply