1. nokhatronews24@gmail.com : ajkarsatkhiradarpan darpan : ajkarsatkhiradarpan darpan
  2. install@wpdevelop.org : sk ferdous :
সাতক্ষীরায় ঐতিহ্যবাহী গুড় পুকুরের মেলার উদ্বোধন - আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ
বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন
১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ খবর :
📰সাতক্ষীরায় বিএনপির নেতা নাসিম ফারুক খান মিঠুর বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের ফুলের শুভেচ্ছা📰সাতক্ষীরায় মেয়র চিশতির উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য কুরআন পাঠ📰আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ📰নতুন এসপিকে ক্রিকেট আম্পায়ার্স কমিটির শুভেচ্ছা📰সাতক্ষীরার আট থানাসহ দেশের ৫২৭ থানার নতুন ওসি📰সাতক্ষীরায় জামায়াত প্রার্থী আব্দুল খালেকের গণসংযোগ📰মহান বিজয়ের মাস শুরু📰ভালুকা চাঁদপুর পূর্ব পাড়া আহলে হাদিস জামে মসজিদের বিষয় নিয়ে আমার জবানবন্দি📰বেগম জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় কালিগঞ্জে প্রার্থনা📰কালিগঞ্জে দিনদুপুরে গৃহবধূ ও যুবক গুলিবিদ্ধ

সাতক্ষীরায় ঐতিহ্যবাহী গুড় পুকুরের মেলার উদ্বোধন

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৯৬ সংবাদটি পড়া হয়েছে

তুহিন হোসেন সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় ঐতিহ্যবাহী গুড় পুকুরের মেলা উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান। জেলা প্রশাসন ও সাতক্ষীরা পৌরসভার আয়োজনে শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে অনুষ্ঠিত মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেলা উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান মো. মানিক সিকদার।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজিম উদ্দীন, প্যানেল মেয়র-২ শেখ আনোয়ার হোসেন মিলন, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী, পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল করিম, পৌর কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর, শেখ মারুফ আহম্মেদ, আইনুল ইসলাম নান্টা, মহিলা কাউন্সিলর নুর জাহান বেগম নুরী, অনিমা রাণী মন্ডল, পৌর সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব নাজমুল হক রনি, আওয়ামী লীগ নেতা আবু আব্দুল্লাহ ছাক্কারসহ আরো অনেকে।
উল্লেখ্য, ভাদ্র মাসের শেষ দিনে মনষা পূজা উপলক্ষে প্রচীনকাল থেকে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোলে গুড় পুকুর পাড়ের বটবৃক্ষের নিচে এই মেলার সূচনা হয়।
এবারের মেলায় প্রায় তিনশোর অধিক স্টল বসেছে। দোকানীরা তাদের পরসা সাজিয়ে বসেছে মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য। বাংলার আবহমান কালের সকল গ্রাম্য মেলার মতোই এই মেলায় বিভিন্ন জিনিসের পসরার মধ্যে আছে, কাঠ, মাটি, বাঁশ, বেত আর লোহার সামগ্রীতে ঠাসা এই মেলার প্রধান আকর্ষণ থাকে সাতক্ষীরার নানা প্রজাতির কলম-করা-গাছগাছড়া।দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন স্টেশনারী পণ্যের বিক্রেতারা। কলম-করা-চারা আর আসবাবপত্র ছাড়াও মেলায় থাকে শিশুদের বিভিন্ন খেলনা; থাকে বিভিন্ন মৌসুমী ফল, থাকে গৃহস্থালী উপকরণ ঝুড়ি, ধামা, কুলা, বাটি, দেলকো, শাবল, খোন্তা, দা, ছুরি, কোদাল প্রভৃতি। এছাড়া বিনোদনের জন্য থাকে ম্যাজিক নৌকা, নাগোরদোলাসহ বিভিন্ন আয়োজন; যাদু প্রদর্শনী, পুতুল নাচ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। গুড়পুকুরের মেলা বা গুড়পুকুর মেলা, বাংলাদেশের সাতক্ষীরা অঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী মেলা, যার বয়স প্রায় ৩০০ বছর বা তার অধিক বলে অনুমিত হয়। সাধারণত আগে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল স্কুলের মাঠ আর পলাশপোল গ্রামই হলো মেলার মূল কেন্দ্রস্থল। কিন্তু বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ভাদ্র মাসের শেষে অনুষ্ঠিত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মনসা পূজাকে কেন্দ্র করে এই মেলা একমাসব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। একসময় কলকাতা ও লন্ডন থেকে ব্যবসায়ীরাও এই মেলায় আসতেন বলে বলেন মেলা উদযাপন কমিটিরা।
বর্তমানে সাতক্ষীরা পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের মধ্যে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। মূলত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উৎসবকে কেন্দ্র করে এই মেলা অনুষ্ঠিত হলেও সাতক্ষীরা শহরবাসীর জন্য এই মেলা হয়ে উঠছে গরিব-ধনী, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এক মিলনমেলা। মেলায় অশ্লীল নৃত্য, জুয়া খেলা, হাউজি ও লটারি খেলাকে স্থানীয় প্রশাসন নিষিদ্ধ করেছে। এমনকি যাত্রাও সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। প্রতিবছর বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসারে ভাদ্র মাসের শেষদিনে অনুষ্ঠিত হয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মনসা পূজা। এই পূজাকে কেন্দ্র করে ৩০০ বছরের বেশি সময় ধরে সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এই ‘গুড়পুকুরের মেলা’। তবে কে বা কারা মেলাটির গোড়াপত্তন করেছিলেন তার কোনো ঐতিহাসিক দলিল পাওয়া যায় না।
তবে জনশ্রুতি রয়েছে শহরের পলাশপোলে একটি গোলাকৃতির পুকুরের পাড়ে বট গাছের নিচে একবার এক ক্লান্ত পথিক বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। গাছের ফাঁক দিয়ে আসা রোদ পথিকের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাচ্ছিলো দেখে এসময় একটি বিষধর সাপ ফণা তুলে তাকে ছায়া দেয়। পথিক এই দৃশ্য দেখে [হিন্দু ধর্মমতানুসারে] মনসার উদ্দেশ্যে পূজা দেওয়া শুরু করেন অথবা এলাকার লোকজনকে মনসা পূজা করতে বলেন। এই পূজার মিষ্টি প্রসাদ পুকুরে ফেলে দেওয়ায় পুকুরের পানি মিষ্টি হয়ে যায়। এই বিশ্বাস থেকে গোলাকৃতি পুকুরের নাম হয়ে যায় গুড়পুকুর। সেই থেকে শুরু হয় গুড়পুকুরের মেলা। এলাকার প্রবীণেরা তাদের বাল্যকাল থেকেই এ মেলা দেখে আসছেন বলে জানা যায়।
তবে গুড়পুকুর নামকরণের অন্যান্য অভিমতও রয়েছে, যেমন: কারো মতে পুকুরে মনসা পূজার বাতাসা ফেলা হতো আর ঐ বাতাসার জন্য পুকুরের পানি মিষ্টি লাগতো বলেই এধরনের নামকরণ। কারো মতে, পুকুরটিতে পানি থাকতো না বেশিদিন; পরে স্বপ্নে দেখা গেলো পুকুরে ১০০ ভাড় গুড় ঢালতে হবে, আর সেমতে কাজ করার ফলেই পুকুরে পানি এলো, তাই এই নামকরণ। আবার শোনা যায়, পুকুরের তলদেশ থেকে একসময় মিষ্টি পানি উঠতো বলে এমন নামকরণ। কারো মতে পুকুরের পাড়ে একসময় প্রচুর খেজুর গাছ হতো। একবার সব গাছের রস সংগ্রহ করে তা দিয়ে গুড় তৈরি করে তার বিক্রীত মূল্যে খনন করা হয় এই পুকুর। আর সেই থেকেই এই পুকুরের নাম গুড়পুকুর।
ঐতিহাসিক আবদুস সোবহান খান চৌধুরী লিখেছেন, ‘অনেক পথ হেঁটেছেন’ আজ ক্লান্তিতে পা আর উঠতে চায় না। শেষ ভাদ্রের ভ্যাপসা গরমে মিইয়ে এসেছে সমস্ত শরীর। ওই যে গৌরদের পুকুরপারের বটগাছটা ওর ছায়ায় একটু জিরিয়ে নেয়া যাক। বটের ছায়ায় বসতে না বসতেই ঘুম এসে গেল ফাজেলের, শেকড়ে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লেন তিনি। ৃবটের পাতার ফাঁক দিয়ে সূর্যের তীব্র রশ্মি এসে পড়লো ফাজেলের মুখে। ঘুম ভেঙে যেতে লাগলো। অস্বস্তিবোধ করলেন তিনি। মগডালে বসেছিল এক পদ্মগোখরো সাপ। সে তা লক্ষ্য করলো এবং নেমে এলো নিচে, যে পাতার ফাঁক দিয়ে সূর্যরশ্মি এসে ফাজেলের মুখে পড়েছে ঠিক সেখানে। ফণা তুলে দাঁড়ালো সাপটা। ফণার ছায়া এসে পড়লো ফাজেলের মুখে। তিনি আরাম পেয়ে আবারও ঘুমিয়ে পড়লেন। কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে থাকার পর আবার ঘুম ভেঙে গেলো। এর মধ্যে ক্লান্তি অনেকটা দূর হয়ে গেছে। বটের পাতায় পাতায় দৃষ্টি ঘোরাতে লাগলেন। হঠাৎ দেখতে পেলেন সেই সাপটিকে। তখনও সে ফণা তুলে সূর্যকে আড়াল করে আছে। এবার ফণাটা একটু দুলে উঠলো, দুলে উঠলো গাছের পাতারা। তখন তার চোখে ঘুমের রেশমাত্র নেই। শরীরে নেই একবিন্দু ক্লান্তি। ফাজেল বটতলা ত্যাগ করলেন এবং এলাকার হিন্দুদের ডেকে বললেন, ‘এখানে তোমরা মনসা পূজা কর’।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :

সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি:

এম এ কাশেম ( এম এ- ক্রিমিনোলজি).....01748159372

alternatetext

সম্পাদক ও প্রকাশক:

মো: তুহিন হোসেন (বি.এ অনার্স,এম.এ)...01729416527

সম্পাদক ও প্রকাশক:

সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক :

© All rights reserved © 2020-2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd