আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ ডেস্ক: অনলাইন জুয়া বর্তমান সময়ে মানুষকে সর্বশান্ত করার অন্যতম মাধ্যম। অনলাইন জুয়ার জালে জড়িয়ে পড়েছে শিক্ষার্থী, বেকার যুবক, দিনমজুর, ব্যবসায়ীসহ অনেক শ্রেণীর মানুষ। অনলাইন জুয়া খেলে সর্বশান্ত হয়ে পথে বসেছে অনেক বেকার যুবক। সরজমিনে দেখা গেছে, ১ীনবঃ,জধলধনধলর, সবষনবঃ সহ অনেক অনলাইন জুয়ার এ্যাপসে চলে লাইভ খেলা। সর্বনি¤œ ২০ টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা বাজি ধরা যায়। লাইভ খেলা চললে অধিকাংশ বাজিধারীরা জিততে পারেনা। সফটওয়্যার এমনভাবে সেট করে কেউ এ্যাপসে টাকা ইনভেস্ট করলেও জয়ী হয়ে টাকা উত্তোলন করার সুযোগ কম। অনলাইন জুয়া খেলার স্থানগুলো হল সাতক্ষীরা জেলা সদরে পৌরসভার পুরতান সাতক্ষীরা, মুন্সিপাড়া, আমলতা, পলাশপোল বৈকারী,কুশখালী, ভোমরা, বাশদাহ। তালা উপজেলার পাটকেল ঘাটা, ধানদিয়া, মুড়গাছা, জালালপুর, নগরঘাটা, সুরুলিয়া। কলারোয়া উপজেলার, চন্দনপুর, কেড়াগাছি, কেরালকাতা, জয়নগর, কয়লা। দেবহাটা উপজেলার সখিপুর, পারুলিয়া, শাখরা কোমরপুর, টাউন শ্রীপুর। কালিগঞ্জে নারায়ণপুর হাসপাতাল এলাকা, মথুরেশপুর, রতনপুর, ধলবাড়িয়া, কৃষ্ণনগর বাজার দক্ষিণশ্রীপুর, ফতেপুর, পারুলগাছা, নীলকন্ঠপুর, বন্দকাটি মোড়। শ্যামনগর উপজেলায় আটুলিয়া, বুড়োগোয়ালিনি, মুন্সিগঞ্জ, ভুরুলিয়া, হরিনগরসহ বিভিন্ন একালায়।
শহরের ওষুধ ব্যবসায়ী আলামিন, সে প্রচন্ড অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ছিল। তার দোকানে কয়েক লক্ষ টাকার মালামালসহ ভাল কেনাবেচা ছিল ওষুধের ব্যবসায়। সে অনলাইন জুয়ায় খপ্পরে পড়ে দোকানপাট বিক্রি করে সে ঢাকা শহরে অটো চালাচ্ছে।
কলারোয়ার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কলেজ শিক্ষার্থী জানান, এর এ্যাপসে জুয়া খেলে টাকা ইনকাম করা যায় শুনেছি। সেই মোতাবেক আমরা বন্ধুরা আইডি খুলে ৫০০টাকা করে ভরে জুয়া খেলি কিছুক্ষণ পর সেই টাকা হেরে যায়। এভাবে ১৫-২০ হাজার টাকা হেরেছি অনলাইন জুয়ার নেশায় পড়ে হেরেছি।
দেবহাটার একজন চাকরিজীবী সে বাড়তি আয়ের আশায় অনলাইন জুয়ার খপ্পরে পড়ে আসক্ত হয়ে কয়েক লক্ষ টাকা হেরে গেছে। ঋণ করে টাকায় জুয়া খেলে ঋণের টাকা পরিশোধ না করতে পেরে বেসরকারি চাকরি ছেড়ে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে আছে।
কালিগঞ্জে বন্দকাটি এলাকায় একজন দোকানদার ১৮-২০ লক্ষ টাকা হেরে নিঃস্ব হয়ে গেছে। একজন মৎস্যা ব্যবসায়ী ২লক্ষ টাকা হেরে মানসিক সমস্যা ভর করেছে। তাছাড়া অর্ধশতাধিক দিনমজুর কেউ ৫০ হাজার, কেউ ৩০ হাজার, কেউ ২০ হাজার, কেউ ৫ হাজার হেরেও লাভের আশায় প্রতিনিয়ত অনলাইন জুয়া খেলে চলেছে।
শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ বাড়ী আদিত্য পেশায় নদীতে মৎস্যধরে জীবিকা নির্বাহ করে। অনলাইন জুয়ার ইনকামের আশায় কয়েক মাসে ৪০ হাজার টাকা হেরেছে। একজন ব্যাংক কর্মকর্তা অনলাইন জুয়ায় কয়েক লক্ষ টাকা হেরে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসায় আছে।
তরুণ বেকার যুবকরা অনলাইন জুয়ায় হেরে পুনরায় সেই টাকা জয়ী হতে জুয়া খেলে চলছে। এই জুয়ার টাকা জোগাড় করতে বাধ্য হয়ে ছিনতাই, চুরি করছে। যার প্রভাব সাতক্ষীরা জেলা জুড়ে ছোটখাট চুরি ডাকাতি প্রতিনিয়ত অহরহ হচ্ছে।
Leave a Reply